বিধানসভায় কি জলসংকট দেখা দিয়েছে? এখন এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজ্য রাজনীতিতে। এখন বিধানসভায় বাদল অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব চলছে। তার প্রথম দিন, মঙ্গলবার টানা আট ঘণ্টা নির্জলা ছিল বিধানসভা বলে অভিযোগ। এই অভিযোগ ওঠার কারণ হল, বহু বিধায়কই বাথরুমে গিয়ে জল পাননি। এমনকী কাজের ফাঁকে চোখে মুখে জল দিতে গিয়ে দেখেন, কল থেকে জল বের হচ্ছে না। বরং জল শূন্যতা দেখা দিয়েছে। তাতেই শোরগোল ফেলে দেন বিধায়করা।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ঘরের শৌচালয়–সহ বহু বিধায়কের ঘরে জল ছিল না। এমনকী বিধানসভার একাধিক জায়গাতেও বেসিনের কলে জল ছিল না অনেকক্ষণ। তার ফলে অনেকে শৌচালয় গিয়ে জল পাননি। এই বিষয়টি সংশ্লিষ্ট অফিসারদের জানানো হয়। তার পরও বেশ কয়েক ঘণ্টা একইরকমভাবে কেটে যায় বলে অভিযোগ। বিধানসভায় জল সরবরাহ ব্যবস্থা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব এখন পূর্ত দফতরের। আর বিধানসভার ছাদে জল সরবরাহের যে পাইপ রয়েছে সেখানে সমস্যা দেখা দেওয়ায় এই বিপত্তি ঘটেছে। তাই নির্জলা থেকেছে বিধানসভা।
তারপর ঠিক কী ঘটল? এদিকে যখন বাদল অধিবেশন চলছে তখনই কানাঘুষো এমন কথা শোনা যায়। তারপর এই খবর পৌঁছে যায় বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। তিনি এমন কথা শুনে চমকে ওঠেন। এমন ঘটনা যে ঘটতে পারে তা তিনি কল্পনাও করতে পারেননি। এমনকী অধিবেশনের শেষে নিজের ঘরে বসে স্পিকার বলেন, ‘বিরোধী দলনেতার রুমে জল ছিল না। এটা আমাকে ওঁরা জানালেই পারতেন। অনেক সময়ে আমার এখানেও জল থাকে না। আমার বাড়িতেও জল থাকে না।’ বিধানসভা বিল্ডিংটি বহু পুরনো। ফলে এখানের পাইপ এবং প্রযুক্তিও পুরনো। তাই এই সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে পূর্ত দফতর সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন: আলিপুরে হানা দিল ইডি, ব্যবসায়ীর বাড়ি–সহ নানা জায়গায় তল্লাশি, কার চাপ বাড়ল?
আর কী জানা যাচ্ছে? অন্যদিকে এই ইস্যুকে সামনে রেখে রাজনীতি করতে শুরু করে দেন বিজেপি বিধায়করা। বিজেপি পরিষদীয় দল বলতে থাকেন, শুভেন্দু অধিকারী যতক্ষণ বিধানসভায় ছিলেন ততক্ষণ তাঁর ঘরের ওয়াশরুম, বেসিন–সহ নানা জায়গায় জল ছিল না। পরে পূর্ত দফতরের কর্মীরা পরিস্থিতি সামাল দেয়। তখন সব জায়গায় জল আসে। বিধানসভায় বিধায়করা ছাড়াও পুলিশকর্মী, অন্যান্য কর্মীদের ব্যবহৃত বাথরুমে জল ছিল না বলেও অভিযোগ। কয়েক ঘণ্টা জল ছিল না।