ইতিমধ্যেই বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন কালীঘাটের কাকু। আজ, বুধবার সকালে নানা নথির খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে তদন্তকারীরা। মঙ্গলবারও ‘লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডসে’–এর অফিসে হয়েছে তল্লাশি। আর বুধবার সকাল থেকেই আবার শুরু হয়েছে ইডি’র তল্লাশি অভিযান। আজ আলিপুরের বেলভেডিয়ার রোডে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে শুর হয়েছে তল্লাশি। সূত্রের খবর, ওই বাড়িটি ব্যবসায়ী জ্ঞানেশ চৌধুরীর। তবে আর্থিক দুর্নীতি মামলার তদন্তে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ইডির এই তৎপরতায় কার চাপ বাড়ল? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এদিকে কয়েকদিন ধরেই ইডি’র তদন্তকারীরা শহরের নানা জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছেন। আর তারপরই দেখা গেল কালীঘাটের কাকুকে অসুস্থ হয়ে পড়তে। এখন কলকাতায় ফিরেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই এমন ইডির তৎপরতা নিয়ে মুখ খুলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরেরদিনই এমন ধরপাকড় বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতেই বিভিন্ন জায়গায় চলছে ইডির অভিযান। আজ, বুধবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ আলিপুরের ১৫ নম্বর বেলভেডিয়ার রোডে জ্ঞানেশ চৌধুরী নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দিয়েছেন ইডির অফিসাররা।
অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন, বেআইনিভাবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে তদন্তের নামে অত্যাচার করা হচ্ছে। নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে দেন, অভিষেক দেশে ফিরতেই বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়েছে ইডির। ইডির অভিযোগ, সাংসদ হওয়ার আগে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের কর্ণধার ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এখনও তাঁর পরিবারের একাধিক সদস্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার বোর্ড অফ ডিরেক্টরসে আছেন। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমাদের বাড়িতে রোজ অত্যাচার করছে। কাল সারারাত না জানিয়ে হঠাৎ চলে গিয়েছে চার–পাঁচটা জায়গায়। আমাকেও কেউ বলেনি। আমি সকাল ৬টায় জানতে পারলাম আইনজীবী মারফত। ছেলেটা সবে বিদেশ থেকে এসেছে। আর শুনছি বাবুরা বেরিয়ে পড়েছে।’
আরও পড়ুন: এবার বাণিজ্য সম্মেলনে লক্ষ্য বিদেশি লগ্নি, নয়াদিল্লিতে জোরকদমে প্রস্তুতি বৈঠক
আর কী জানা যাচ্ছে? এদিন এই ব্যবসায়ীর আবাসনের ছ’তলায় ঢোকেন গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, তল্লাশি করার পর ব্যবসায়ী জ্ঞানেশ চৌধুরীকে শুরু হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ। তিনি কোনও আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত কি না সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই অভিযান বেলা পর্যন্ত চলবে। মুখ্যমন্ত্রী গতকাল বলেছেন, ‘আমার বাড়িতে কেউ গেল, বা আপনার বাড়িতে পুলিশ পাঠালাম। নিয়মটা কী? বাড়ির কাউকে জানাবে। বাড়ির কাউকে ডেকে কথা বলবে। রেড করতে হলে বাড়ির লোকেজনও থাকবে। তুমি একটা জায়গায় যাচ্ছ রেড করতে। তালা ভেঙে ঢুকছ, জানাচ্ছ না। বাড়িতে যদি কেউ না থাকে? যদি কেউ চা করার লোকও থাকে তাঁকেও ঘর থেকে বের করে দিচ্ছ। সে জানে না। তুমি যদি কারও বাড়িতে যাচ্ছ না জানিয়ে, তাঁর তো নিরাপত্তার কারণও আছে। তুমি যে লুকিয়ে বিস্ফোরক বা বন্দুক রেখে যাচ্ছ না, কে গ্যারান্টি নেবে। তুমি কয়েক কোটি টাকা নিজে বাক্স করে নিয়ে ঢুকছ না সেটা জানাবার কোনও জায়গা নেই। এটা বেআইনি।’