গত ১১ জুন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে চলে গিয়েছেন মুকুল রায়। গত বিধানসভা ভোটের আগেই আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপি ছাড়ার কথা ঘোষণা করে দিয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। এরা তিনজনে বিজেপি ছাড়াও গিয়েছেন ঠিকই। কিন্তু এখনও তাঁরা দলের কার্যকারিণী কমিটির সদস্যের তালিকায় আছেন। অন্তত রাজ্য বিজেপির ওয়েবসাইটে সেই তথ্যই দেখানো হচ্ছে। স্বভাবতই বিজেপির মধ্যেই উঠছে প্রশ্ন।
বিধানসভা ভোটের আগে থেকেই আদি ও নব্য বিজেপিতে জেরবার ছিল গেরুয়া শিবির। মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে চলে যাওয়ার পরই রাজ্য বিজেপি দফতরে মুকুল রায়ের ঘরের সামনের নেমপ্লেট খুলে দেওয়া হয়। এরপর কৃষ্ণনগরের উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করতে বিধানসভা স্পিকারকে চিঠি দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু এতকিছুর পরেও দলের ওয়েবসাইট থেকে মুকুল রায়ের নাম সরেনি। অন্যদিকে বিধানসভা ভোটের আগে নিজের পছন্দ মতো বেহালা পূর্ব কেন্দ্রে প্রার্থী হতে না পারায় দলীয় নেতৃত্বের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন হয়েছিলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। এরপর থেকেই বিজেপির সঙ্গে দুরত্ব তাঁর বাড়তে থাকে। বিজেপি ছেড়ে দেন তিনি ও তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এরা কেউই এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূলে যোগ দেননি। তবে তৃণমূলের সঙ্গে যে তাঁদের সখ্যতা বজায় রয়েছে, তা বলাই বাহুল্য। কিছুদিন আগেই তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে ঘুরে গিয়েছিলেন শোভন–বৈশাখী। সম্প্রতি দুজনের নামে একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টও খোলেন তাঁরা।কিন্তু এত ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরও বিজেপির ওয়েবসাইটে এখন জ্বল জ্বল করছে শোভন–বৈশাখীর নাম।
বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের কাছে ব্যাপক হারের পর বিজেপি শিবির এখনও পর্যন্ত সাংগঠনিকভাবে গুছিয়ে উঠতে পারেনি। এখনও অনেক জায়গায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের হিড়িক চলছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য বিজেপিতে ব্যাপক কোনও সাংগঠনিক রদবদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সেই নিয়ে দোলাচলে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। রাজনৈতিক মহলের টিপ্পনি, তবে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মন থেকে যে এখন মুকুল–শোভন–বৈশাখী যায়নি, তা বিজেপির ওয়েবসাইট থেকেই স্পষ্ট।