দু’বছর কেটে গিয়েছে। সংবাদমাধ্যমকে সরাসরি আক্রমণ করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ। আর তার জেরে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে সমন জারি করল ব্যাঙ্কশাল আদালত। এমনকী আগামী ১৪ জুলাই আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সাংসদকে। নদিয়ার গয়েশপুরের কর্মীসভার সভায় দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের ‘দু’পয়সার সাংবাদিক’ বলে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তার জেরেই এই সমন।
ঠিক কী ঘটেছিল সেদিন? ২০২০ সালে নদিয়ার গয়েশপুরে করিমপুর ২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীসভা ছিল। সেই কর্মীসভার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছিল। যেখানে সাংসদকে বলতে শোনা যায়, ‘কে এই দু’পয়সার প্রেসকে ভিতরে ডাকে? সরাও প্রেসকে এখান থেকে। কেন দলের মিটিংয়ে প্রেস ডাকো তোমরা? কর্মী বৈঠক হচ্ছে আর সবাই টিভিতে মুখ দেখাতে ব্যস্ত। আমি দলের সভানেত্রী, আমি আপনাদের নির্দেশ দিচ্ছি, প্রেসকে সরান।’ বিতর্ক চরমে উঠতে টুইট করে ক্ষমা চান সাংসদ।
তারপর ঠিক কী হয়েছিল? ২০২০ সালেই সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে মামলা করেছিলেন আইনজীবী স্মরজিৎ রায়চৌধুরী। সেই মামলার ভিত্তিতে সোমবার সমন ইস্যু করলেন ব্যাঙ্কশাল আদালতের ১০ নম্বর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। আগামী ১৪ জুলাই তাঁকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই মন্তব্য যথেষ্ট মানহানিকর অপমানজনক মনে করে সাংসদকে ক্ষমা চাইতে আইনি নোটিশ দিয়েছিলেন আইনজীবী সুরজিৎ রায় চৌধুরী ও অজিত কুমার মিশ্র।
আদালত ঠিক কী বলেছে? ব্যাঙ্কশাল কোর্ট সূত্রে খবর, এই মামলাতেই সমন জারি করা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। কলকাতা প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে ওই মন্তব্যের নিন্দা করে বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল। আর টুইটে কৃষ্ণনগরের সাংসদ লিখেছিলেন, ‘আই অ্যাপোলোজাইজ ফর দ্য মিন হার্টফুল অ্যাকিউরেট থিংস আই সেড।’ যার বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়, ‘নিম্নমানের দুঃখজনক সঠিক কথা বলার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।’