বেহালা চৌরাস্তায় ট্রাকের ধাক্কায় সাত বছরের স্কুল ছাত্রের মৃত্যুর পর কেটে গিয়েছে ২টো দিন। পুলিশি অব্যবস্থার বিরুদ্ধে গণরোষের স্বতঃস্ফূর্ত বহিঃপ্রকাশে চোখ খুলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের। এবার বেহালা চৌরাস্তা সংলগ্ন রাস্তা দখলমুক্ত করতে নামল বুলডোজার। সোমবার প্রার্থনার পর নিহত সৌরনীল সরকারকে চোখের জলে স্মরণ করলের ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক ও শিক্ষকরা।
সৌরনীলের মৃত্যুর পর সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় উঠে আসে, ব্যস্ত বেহালা চৌরাস্তায় ফুটপাথ দখল করে বসেছে নানা পসরা। এমনকী রাস্তার একাংশ দখল করে চলছে ফুলগাছের দোকান। এর পরই পুলিশের তরফে জানানো হয়, ২ ফুট করে রাস্তা ছেড়ে দিতে হবে দোকানিদের। সেই মতো প্রস্তুতিও চালাচ্ছিলেন দোকানিরা। তারই মধ্যে রবিবার রাতে সেখানে পৌঁছয় পুরসভার বুলডোজার। ফুটপাথে তৈরি অস্থায়ী দোকানগুলি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেন উপস্থিত আধিকারিকরা। কিছু ভ্রাম্যমান দোকান ট্রাকে করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
শনি - রবির পর সোমবারও বড়িশা হাই স্কুলের সামনে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে দেখা গেল ব্যাপক পুলিশি তৎপরতা। পথচারীরা যাতে রাস্তায় না নামেন সেজন্য ব্যারিকেড করে ঘিরে দেওয়া হয়েছে ফুটপাথ। শনিবারই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল সকাল ৬টার পর শহরে ঢুকবে না ট্রাক। কিন্তু এদিন সকাল ৭টা নাগাদ ঘটনাস্থলে একটি ট্রাককে দাঁড় করান পুলিশকর্মীরা। চালককে নামিয়ে ট্রাকটি চালিয়ে ঠাকুরপুকুর থানায় নিয়ে যান তাঁরা।
এদিন স্কুলে প্রার্থনার পর সৌরনীলের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। সহপাঠী থেকে অন্যান্য ছাত্র, অভিভাবক, সবার চোখ ছিল ভেজা। প্রধান শিক্ষক বলেন, যা হয়ে গেল তা যেন আর কোনও দিন না হয়। আপনারা সবাই আমার পাশে থাকুন। আমি যেন স্কুলটাকে আবার স্বাভাবিক ভাবে চালাতে পারি।