অবশেষে পাঁচদিনের মাথায় গ্রেফতার করা হল বেহালা–কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত। গ্রেফতার করা হয়েছে মূল অভিযুক্ত তথা বহিষ্কৃত তৃণমূল কংগ্রেসের বেহালার যুব সভাপতি সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। একাধিকবার মোবাইল ফোন, সিম বদল করেও গ্রেফতার এড়ানো গেল না। হাওড়ার জয়পুর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে আরও ৬ জনকে। ধৃতদের মোবাইল ফোন, গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে বাপনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের গুন্ডাদমন শাখা। হাওড়া গ্রামীণ এলাকার জয়পুরে একটি খামার বাড়ি থেকে সকলকে পাকড়াও করা হয়েছে। আজ, রবিবার তাদের আদালতে তোলা হবে। এলাকায় উত্তেজনা ছড়ানো, ইট ছুড়ে ভাঙচুর করা এবং গুলিচালনার ঘটনায় এরা জড়িত।
ঠিক কী ঘটেছিল বেহালায়? গত ১২ এপ্রিল বেহালার চড়কতলার মেলার মাঠের দখল কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে দুই ঘোষ্ঠীর সংঘর্ষ হয়। ১২১ নং ওয়ার্ডে এই নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ শুরু হয়। রাতের চলে গুলি–বোমাবাজি। ভাঙচুর হয় তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিস। এই ঘটনার পরই বেপাত্তা হয়ে যায় বেহালার ১২১ নং ওয়ার্ডের যুব তৃণমূল সভাপতি সোমনাথ ওরফে বাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এই ঘটনা নিয়ে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি ফোন করেন বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়কে। উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। এমনকী ঘটনা নিয়ে তদন্ত করার নির্দেশ দেন। পাঁচদিনের মাথায় সোমনাথ ছাড়া বাকি ধৃতেরা গ্রেফতার হয়। ধৃতরা হল— বিপ্লব ভর, দেবরাজ ওরফে রানা, বাপি ভুঁইঞা, বীর বিজয়, সুপ্রিয় সেনগুপ্ত ওরফে বাবাই, সুমন পাল। পুলিশের চোখে ধুলো দিতে বাণিজ্যিক গাড়িতে চড়ে এলাকা ছাড়ে সাত অভিযুক্ত। প্রথমে বারাসতে তারপর সেখান থেকে ওড়িশার বালেশ্বর হয়ে দিঘায় পৌঁছয় তারা। এরপর এক পরিচিতের সঙ্গে যোগাযোগ করে জয়পুরে এসে গা–ঢাকা দেয়।