মৃত্যুহার কমাতে এবার প্রতিটি কোভিড হাসপাতালে বিশেষ টিম গঠনের নির্দেশ রাজ্যের
1 মিনিটে পড়ুন Updated: 25 Jun 2020, 05:26 PM IST২৪ ঘণ্টা কাজ করবে এই দলগুলি।
২৪ ঘণ্টা কাজ করবে এই দলগুলি।
করোনায় অনেকটা কাবু পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। কিন্তু এখনও মৃত্যুহার জাতীয় গড়ের চেয়ে বেশি। এই নিয়ে নানা দিক থেকে সমালোচনার মুখে পড়ছেন মমতা বন্দ্যাপাধ্যায়ের সরকার। এবার সেই কারণে সমস্ত কোভিড হাসপাতালগুলিকে কুইক রেসপেন্স টিম গঠন করতে নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার।
প্রাথমিক ভাবে পশ্চিমবঙ্গে করোনায় মৃত্যুর হার দেশের মধ্যে শীর্ষে ছিল। সেটা অনেকটাই কমেছে। কিন্তু এখনও বাংলার মৃত্যুর হার ( ৩.৮ শতাংশ) জাতীয় গড়ের (৩.১ শতাংশের) চেয়ে বেশি। বড় রাজ্যের মধ্যে মহারাষ্ট্র ( ৪.৭%) ও গুজরাত (৫.৯%) পশ্চিমবাংলার চেয়ে বেশি।
রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এদিন প্রকাশ করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে সময় মতো চিকিত্সা দিতে পারলে মৃত্যুহার অনেকটাই কমানো যেতে পারে। রাজ্যের ৭৮টি কোভিড হাসপাতালে তাই বিশেষ দল গঠন করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্যদফতরের কর্তা জানিয়েছেন, প্রতিটি ক্যুইক রেসপন্স টিমে থাকবে একজন অ্যানেসথেটিস্ট, মেডিক্যাল অফিসার, হাউস স্টাফ, বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত নার্স ও একজন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি। ২৪ ঘণ্টা অ্যাক্টিভ থাকবে এই দল। ইতিমধ্যে বেশ কিছু হাসপাতালে এমন দল নিযুক্ত করা হয়েছে।
যে সব রোগী খুব অসুস্থ বলে চিহ্নিত, তাদের দিনে দুই বার চেক করে দেখতে হবে। এছাড়াও হসপিটালের এমার্জেন্সি ওয়ার্ডে সঙ্গীন রোদীদেরও তারা চিকিত্সা দেবেন।
মমতা বারবার বলেছেন যে প্রথম থেকে হাসপাতালগুলি কোমরবিডিটি পরিস্থিতির ওপর খেয়াল রাখলে, অনেক কম লোক মারা যেতেন। ২৪ জুন অবধি রাজ্যে করোনা পজিটিভ অবস্থায় ৫৯১ জন মারা গিয়েছেন। এর মধ্যে ৪৩৭ জন অর্থাত্ প্রায় ৭৩ শতাংশ কোমরবিডিটির শিকার। অর্থাত্ তাদের হার্টের অসুখ, কিডনিতে গলযোগ, ডায়বিটিস ইত্যাদি কিছু সমস্যা ছিল, যেটা করোনার জেরে ঘাতক রূপ নিয়েছিল।
কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় মৃত্যু হার ৫.৩ শতাংশ। শুধু কলকাতাতেই সেটা ৬.৯ শতাংশ। অর্থাত্ ১০০ জন করোনা আক্রান্ত হলে ১৪ জন মারা যাচ্ছেন মহানগরীতে।
তবে মে মাসে মৃত্যু হার ছিল ১২.৮ শতাংশ। সেখান থেকে অনেকটাই ঘুরে দাঁড়িয়েছে রাজ্য।