পুজোর আগে বিধাননগরের সুকান্ত নগরের বেআইনি নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু, ওই অবৈধ নির্মাণ ভাঙতে গিয়ে স্থানীয়দের বাধার মুখে পড়েছিলেন বিধাননগর পুরসভার কর্মীরা। ফলে সেই নির্মাণ ভাঙতে পারেনি পুরসভা। তাই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পর বেআইনি নির্মাণকে ভাঙতে কমিটি গঠন করতে চলেছে বিধাননগর পুরসভা। ওই কমিটির মাথায় থাকবেন মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন: দুপুর ১টার মধ্যে অবৈধ বাড়ি ভাঙার নির্দেশ হাইকোর্টের, না হওয়ায় ফের কড়া নির্দেশ
জানা গিয়েছে, পুরসভার তরফে ওই অবৈধ নির্মাণ ভাঙতে যে কমিটি গঠন করা হচ্ছে তাতে ৪ জন সদস্য থাকবেন। তার মাথায় থাকবেন মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী। বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে যাতে আগামী দিনে কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য এই কমিটি তৈরি করা হবে। উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ওই বাড়ির প্রোমোটারকে ক্রেতাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। পুরসভার কমিটিও বিষয়টি খতিয়ে দেখে আদালতের কাছে সেই আর্জি জানাবে। পুরসভার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নির্মাণটি ক্রেতাদের অন্ধকারে রেখেই সম্পন্ন করেছিলেন প্রোমোটার। তাছাড়া, ক্রেতারাও আইনি দিক খতিয়ে দেখেননি। ফলে আবাসিকরা আশঙ্কা করছেন বেআইনি নির্মাণটি ভাঙা হলে তারা আশ্রয়হীন হয়ে পড়বেন। সেই কারণে তারা বারবার এই নির্মাণ ভাঙতে বাধা দিচ্ছেন। এই অবস্থায় পুরসভাও চাইছে যাতে আবাসিকরা আশ্রয়হীন না হয়ে পড়েন। ফলে প্রোমোটার ক্ষতিপূরণ দিলে সেক্ষেত্রে তারা বাড়ি ভাঙতে বাধা দেবেন না। সেই কারণে তারা কলকাতা হাইকোর্টের কাছে এ বিষয়ে আর্জি জানাবে।
অন্যদিকে, বিধাননগর পুরসভার ৩৫ ও ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে ৩২২টি অবৈধ নির্মাণ রয়েছে। সেই সমস্ত বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম। এত সংখ্যক বাড়ি ভাঙলে স্বাভাবিকভাবেই প্রচুর মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়বেন। সেই কারণে আদালতের রায় পুনর্বিবেচনার জন্য পুনরায় কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা হয়েছে। প্রধান বিচারপতির এজলাসে সেই মামলার শুনানি রয়েছে। প্রসঙ্গত, বিধাননগর পুর এলাকায় বেআইনি নির্মাণ বাড়ছে। রাজারহাটের বিস্তীর্ণ এলাকাতেও একাধিক বেআইনি নির্মাণ রয়েছে। সেক্ষেত্রে বেআইনি নির্মাণ যাতে গজিয়ে উঠতে না পারে তারজন্য বিভিন্ন ব্যাঙ্ককে গৃহঋণ দেওয়ার আগে পুরসভার শংসাপত্র খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।