তাহলে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি হয়েছে এটা মেনে নিলেন শিক্ষামন্ত্রী। মঙ্গলবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর সাংবাদিক সম্মেলনকে এভাবেই ব্যাখ্যা করলেন মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী তো বলেছিলেন, কারও চাকরি যাবে না? তাহলে কেন এখন আদালতের নির্দেশে অযোগ্যদের চাকরি বাতিল করার কথা বলছেন শিক্ষামন্ত্রী? প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
এদিন বিকাশবাবু বলেন, আদালতের সঙ্গে ছেলেখেলা করার ফল এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ তাঁর শিক্ষামন্ত্রী কেন বলছেন, আদালতের নির্দেশে বেআনিভাবে নিযুক্তদের চাকরি থেকে বাদ দিতেও তৈরি তারা? আর তাঁরা তৈরি কি না তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না। দুর্নীতির মাধ্যমে যারা চাকরি পেয়েছেন তারা আদালতের নির্দেশেই বাদ যাবে। দেশে এখনো আইনের শাসন রয়েছে। এটা ভুলে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি আরও বলেন, ‘আদালত নির্দেশ দিলে সরকার যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি দিতে বাধ্য। শিক্ষামন্ত্রী আজ স্বীকার করে নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এরাজ্যে টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি হয়েছে।’
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘২টি সম্ভাব্যতা রয়েছে। প্রথমত, আদালত বলতে পারে সবাইকে চাকরি দিন। সেজন্য আমরা প্রস্তুত। সেজন্য যে ১৪,৫০০ শূন্যপদ তৈরি প্রয়োজন তা প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্বিতীয়ত, আদালত যদি বলে অবৈধ ভাবে যারা ঢুকেছেন তাদের নিয়োগ যদি বাতিল করতে হয় তাতেও আমরা তৈরি। এখন আদালত নির্দেশ দিলে আমরা সেই মোতাবেক এগোব।’
ওদিকে মঙ্গলবার ৫৬২ দিনে পড়েছে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন। পুজোর আগে নিয়োগের ঘোষণা হবে বলে অধীর অপেক্ষায় ছিলেন তাঁরা। কিন্তু এদিন তেমন কোনও ঘোষণা না হওয়ায় কিছুটা হতাশ যোগ্য প্রার্থীরা।