বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে হাজির হলেন বিমল–রোশনরা, চলল দু’‌ঘন্টা বৈঠক

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে হাজির হলেন বিমল–রোশনরা, চলল দু’‌ঘন্টা বৈঠক

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাকতলার বাড়িতে হাজির হন বিমল গুরুং এবং তাঁর সঙ্গে অন্যান্য নেতারা।

এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিবের বাড়িতে পাহাড়ি নেতাদের আগমন এবং বৈঠক বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

তখন পাহাড়ে নতুন দলের ঘোষণা করছেন অজয় এডওয়ার্ড। তাঁর নতুন দলের নাম হামরো পার্টি। ঠিক সেই মুহূর্তেই বৃহস্পতিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাকতলার বাড়িতে হাজির হন বিমল গুরুং এবং তাঁর সঙ্গে অন্যান্য নেতারা। এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন রোশন গিরি–সহ আরও তিনজন। এখানেই হয় প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে বৈঠক।

পাহাড়ে এখন বিজেপি শক্তঘাঁটি তৈরি করেছে। তবে সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসও ভাল ফল করেছে আগের থেকে। এখন অনীত থাপা নতুন দল তৈরি করেছেন। জিটিএ’‌র নির্বাচনও করাতে হবে। পাহাড়ের সমীকরণ পাল্টে যাচ্ছে। সেখানে আগে আলাদা রাজ্য করার দাবি করেছিল বিজেপি। ইতিমধ্যেই পাহাড় নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিবের বাড়িতে পাহাড়ি নেতাদের আগমন এবং বৈঠক বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

এই বৈঠকের পর তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‌তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতারা। কিন্তু নেত্রী এখন বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। ফলে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। শুধু বাংলা নয় দেশের একাধিক রাজ্যে তারা তৃণমূল কংগ্রেসের পাশে থাকবেন বলে জানিয়েছেন।’‌

কিন্তু হঠাৎ বিমল গুরুংয়ের এই সাক্ষাৎ কেন?‌ এই বিষয়ে বিমল গুরুং সরাসরি কোনও কথা বলেননি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে। বিমল গুরুং এবং রোশন গিরির পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘‌তরাই, ডুয়ার্স–সহ সংলগ্ন এলাকার রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কথা হয়েছে জিটিএ নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়েও। পাহাড়ের পরিস্থিতি বিচার-বিশ্লেষণ করে পরবর্তী সময়ে জিটিএ নির্বাচন হোক এই দাবি করা হয়েছে। এমনকী পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিষয়ে কথা হয়েছে।’‌

বন্ধ করুন