গতকাল দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে বিএসএফের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ ছিল, বালুরঘাটের একটি বুথে বিএসএফ জওয়ানরা ভোটারদের ভয় দেখিয়ে ভোটকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। সেই সংক্রান্ত অভিযোগ পুরোপুরি নস্যাৎ করল বিএসএফ। তাদের দাবি, তৃণমূলের তরফে যে বুথে এই ধরনের অভিযোগ তোলা হয়েছে সেই বুথে বিএসএফের কোনও জওয়ান মোতায়েন ছিল না। তাহলে কীভাবে বিএসএফের জওয়ানরা ভোটারদের ভয় দেখালেন? তাই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: ‘প্রচুর বুথে পুনর্নির্বাচন হওয়া দরকার’, ভোট মিটতেই সুর চড়ালেন বিজেপি প্রার্থী
বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ওই বুথে বিএসএফের দ্বারা ভয় দেখানোর অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই পোস্টে তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ তোলা হয়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সতর্ক করেছিলেন বিএসএফ ভোটারদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে, অথচ নির্বাচন কমিশন তাতে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। এবার মুখ্যমন্ত্রীর সেই অভিযোগ প্রমাণিত হল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নিয়ন্ত্রিত বিএসএফ বালুরঘাটে ভোটারদের হুমকি দিচ্ছে, তাদের নানাভাবে হেনস্থা করছে। তৃণমূলের অভিযোগ, বালুরঘাটের বাতুন গ্রাম পঞ্চায়েতের ২০২ নম্বর বুথে ভোটারদের হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি হেনস্থা করে বিএসএফ। এই ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে পদক্ষেপ করার আর্জি জানায় তৃণমূল কংগ্রেস।
বিএসএফের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠায় কার্যত শোরগোল পড়ে যায়। এর পরে পালটা বিএসএফের তরফে এটি প্রেস বিবৃতি জারি করে তৃণমূলে যাবতীয় অভিযোগ খণ্ডন করা হয়। বিএসএফের তরফে দাবি করা হয়েছে, তৃণমূলের তরফে যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে সেই অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন। কারণ বাতুন গ্রাম পঞ্চায়েতের ২০২ নম্বর বুথে বিএসএফের কোনও জওয়ান মোতায়েন ছিল না। সুতরাং এই অভিযোগ পুরোপুরি মৃত্যু মিথ্যা।
এর পাশাপাশি বিএসএফ আরও জানায়,অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন তাদের যে নির্দেশ দিয়েছে সেই নির্দেশ পালন করতে বিএসএফ কঠোরভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রসঙ্গত, গতকাল শুক্রবার দ্বিতীয় দফার ভোট হয়েছে রাজ্যের তিনটি কেন্দ্রে। সেগুলি হল জলপাইগুড়ি, বালুরঘাট এবং রায়গঞ্জ। দ্বিতীয় দফার ভোটে বড়সর কোনও অশান্তির খবর না পাওয়া গেলেও বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে।