অবশেষে ঘোষিত হল বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটি। সোমবার দলের রাজ্য সদর দফতরে কমিটি ঘোষণা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বিধানসভা নির্বাচনে দিলীপের বাহিনীতে পদোন্নতি হল লকেটের। অদৃশ্য হয়েও থেকে গেলেন রীতেশ তিওয়ারি।
এদিন দিলীপবাবু জানান, লকডাউন শুরুর আগে তিনি ও প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি গিয়ে এই কমিটি চূড়ান্ত করেন। তবে লকডাউন চলায় কমিটি ঘোষণা করা হয়নি। এখন লকডাউন শিথিল হওয়ায় কমিটি ঘোষণা করা হল।
দিলীপবাবুর ঘোষণা অনুসারে ১২ জনকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি নিযুক্ত করা হয়েছে। তাঁরা হলেন,
১. বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী
২. সুভাষ সরকার
৩. প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়
৪. দেবাশিস মিত্র
৫. রাজকমল পাঠক
৬. রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়
৭. জয়প্রকাশ মজুমদার
৮. রীতেশ তিওয়ারি
৯. দীপেন প্রামাণিক
১০. অর্জুন সিং
১১. ভারতী ঘোষ
১২. মাফুজা খাতুন
রয়েছেন ৫ জন সাধারণ সম্পাদক। তাঁরা হলেন,
১. সায়ন্তন বসু
২. সঞ্জয় সিং
৩. রথীন বসু
৪. জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো
৫. লকেট চট্টোপাধ্যায়
এছাড়া রয়েছেন ১০ জন সচিব।
১. তুষার মুখোপাধ্যায়
২. তুষারকান্তি ঘোষ
৩. অরুণ হালদার
৪. দীপাঞ্জন গুহ
৫. বিবেক সোনকর
৬. সব্যসাচী দত্ত
৭. তনুজা চক্রবর্তী
৮. ফাল্গুনি পাত্র
৯. সংঘমিত্রা চৌধুরী
১০. শর্বরী মুখোপাধ্যায়
এর বাইরে বিজেপির ৭টি শাখা সংগঠনের নেতৃত্ব বদল হয়েছে। মহিলা মোর্চার আহ্বায়ক হয়েছেন অগ্নিমিত্রা পাল। যুব মোর্চার সভাপতি হয়েছেন সৌমিত্র খাঁ। তফশিলি মোর্চার সভাপতি দুলাল বর। তফশিলি উপজাতি মোর্চার সভাপতি খগেন মুর্মু। ওবিসি মোর্চার সভাপতি নির্মল কর্মকার। কিষান মোর্চার সভাপতি মহাদেব সরকার। সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি আলি হোসেন।
গত জানুয়ারিতে দ্বিতীয় বারের জন্য রাজ্য বিজেপির সভাপতি নির্বাচিত হন দিলীপ ঘোষ। সেই থেকে রাজ্য কমিটি নিয়ে জল্পনা চলছিল। দিলীপবাবু বলেন, কমিটি তৈরি হলেও ঘোষণা করা হয়নি। কারণ, লকডাউনের জন্য মাঠে নেমে নেতারা কাজ করতে পারতেন না। সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, নতুন কমিটিতে কয়েকজনের পদে অদল বদল হলেও কাজে তেমন কোনও বদল হবে না।
এক প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ ঘোষ জানান, নতুন কমিটিতে পুরনো বিজেপি কর্মীদের পাশাপাশি অন্য দল থেকে আগতদেরও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক ব্যক্তিকে তাঁর যোগ্যতার ভিত্তিতে পদ দেওয়া হয়েছে। তবে যাঁরা পদ পাননি তারাও কাজ করার সুযোগ পাবেন বলে জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, বিজেপিতে অনেক কমিটি আছে। সেসব জায়গায় সুযোগ পাবেন তাঁরা।