বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে যখন ধুন্ধুমার গোটা কলকাতাজুড়ে তখন দেখা মিলল না দলের অন্যতম নেতা রাহুল সিনহার। দলীয় পদ হারিয়ে আগেই বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন তিনি। তাঁর তৃণমূলে যোগদানের সম্ভাবনা নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছিল। সেই জল্পনাতেই এদিন ঘি ঢালল রাহুল সিনহার অনুপস্থিতি।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর বিজেপির নতুন কেন্দ্রীয় পদাধিকারীদের নাম ঘোষণা হলে দেখা যায় তালিকায় নেই রাহুল সিনহার নাম। কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। তালিকায় তার বদলে সম্পাদক করা হয় অনুপম হাজরাকে। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন রাহুল সিনহা। বলেন, ৪০ বছর নিঃস্বার্থভাবে বিজেপির সেবা করার এই পুরস্কার পেলাম। তৃণমূল নেতাকে জায়গা দিতে আমাকে সরানো হল। ১০-১২ দিনের মধ্যে আমার ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পরিকল্পনা স্পষ্ট করব।
তার পর পক্ষকাল কাটতে চললেও প্রকাশ্যে আর মুখ খোলেননি রাহুল সিনহা। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ডাকে দিল্লি গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে থাকার সময় বা ফিরে এসেও প্রকাশ্যে কথা বলেননি তিনি।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সারা দিন নিজের বাড়িতেই ছিলেন রাহুল সিনহা। বিকেলে বাড়ি থেকে বেরোন। তবে পার্টি অফিসে যাননি তিনি। ব্যক্তিগত কাজ সেরে ফেরেন বাড়িতে।
বিজেপির দাবি, এদিনের অনুষ্ঠানে রাহুল সিনহাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু বলেন, ‘রাহুল সিনহার সঙ্গে সৌমিত্র খাঁর কথা হয়েছিল। কিন্তু কী কথা হয়েছিল তা সৌমিত্র বলতে পারবে।’
বিজেপির অভ্যন্তরের খবর, এদিনের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন রাহুল সিনহা। তাই চারটি মিছিলের কোনওটির নেতৃত্বেই নাম ছিল না তাঁর।