২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে মুকুটমণি অধিকারী ছিলেন রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হিসাবে বিজেপির প্রথম পছন্দ। কিন্তু রাজ্য সরকারি হাসপাতালের কাজ তিনি ছেড়ে না আসায় শেষ মুহূর্তে ভাগ্য উদয় হয় জগন্নাথ সরকারের। তিনি জিতলেও কাজ নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। এবার আবার রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন জগন্নাথ সরকার। আর তাতেই ক্ষেপে ওঠেন মুকুটমণি। তার উপর তৃণমূল কংগ্রেস থেকে তাপস রায়কে নিয়েছে বিজেপি। পাল্টা ধাক্কা দিল এবার তৃণমূল কংগ্রেস। মুকুটমণি অধিকারীকে আজ, বৃহস্পতিবার দলে যোগ করল। সুতরাং বিধায়ক সংখ্যা ঠিক রাখল তৃণমূল কংগ্রেস।
এদিকে জগন্নাথ সরকারকে প্রার্থী করতেই ক্ষোভে ফুঁসছিলেন রানাঘাট দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী। সেই ক্ষোভ এতটাই যে সরাসরি যোগাযোগ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। আর তারপরই আজকের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের র্যালিতে পা মেলালেন মুকুট। তাতে জোর ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। তাহলে কি মতুয়া ভোট ধরতে এবার রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারী? এই বিষয়ে সরাসরি কিছু না বললেও মুকুটমণি দাবি করেন, ‘রানাঘাট কেন্দ্রে বিজেপি যোগ্য লোককে প্রার্থী করেনি। তাই হার নিশ্চিত।’ পাল্টা জগন্নাথ সরকার বলেন, ‘আমাদের দল কাজ দেখে প্রার্থী করে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমার এলাকা থেকেই একমাত্র পঞ্চায়েত সমিতি দখলে এসেছে।’
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর সবুজ সাথীর সাইকেলে ভরসা বিজেপি কর্মীদের, সুকান্তের মিছিলে মিলল দেখা
অন্যদিকে মতুয়া-নমঃশূদ্র অধ্যুষিত দক্ষিণ নদিয়ায় তরুণ ও শিক্ষিত মতুয়া মুখ হয়ে উঠে আসে মুকুটমণি অধিকারী। বিজেপি তা আগে কাজে লাগিয়েছিল। জগন্নাথ যে প্রার্থী হিসাবে দলের সব মহলে স্বাগত সেটা নয়। তাও তাঁকে প্রার্থী করা হয়েছে। নদিয়া দক্ষিণের যুব পদাধিকারী মুকুটমণি অধিকারীকে প্রার্থী হিসাবে চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। মুকুটমণি এই বিষয়ে বলেন, ‘কেন আমায় প্রার্থী করা হল না সেটা বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্ব বলতে পারবেন।’
এছাড়া রানাঘাটে মতুয়া মন জিততে তাঁকেই প্রার্থী করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই দলের একাংশের দাবি, মুকুটকে প্রার্থী করা হলে বিজেপির হাত থেকে রানাঘাট কেন্দ্র ছিনিয়ে নেওয়া সহজ হবে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে মুকুটমণির সঙ্গে প্রাথমিক কথা হয়ে যেতেই আজ তাঁর পাশে হাঁটতে দেখা যায় বিজেপি বিধায়ককে। এই বিষয়ে মুকুটমণির বক্তব্য, ‘এখনও তো কোনও ঘোষণা হয়নি। আমরা চাই, নদিয়াবাসী শান্তি পাক।’ সুতরাং তৃণমূল কংগ্রেস আলাদা করে যোগদান মেলা না করে বিজেপিকে ধাক্কা দিল বলে মনে করা হচ্ছে।