লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি। তাতে বাংলার ২০ জনের নাম থাকলেও চমক ছিল না। উলটে আসানসোলের প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে যান। ফলে অস্বস্তিতে পড়ে যায় বিজেপি। যার এখনও ড্যামেজ কন্ট্রোল করা যায়নি। তাই এবার দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা প্রস্তুতিতে জোর দিচ্ছে বিজেপি। বাংলার বাকি কেন্দ্রের প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনা করার জন্য আজ, সোমবার নয়াদিল্লি যাচ্ছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি বলে সূত্রের খবর। সদ্য পথ দুর্ঘটনায় পড়েছেন সুকান্ত মজুমদার। সেটা কাটিয়ে উঠেই ছুটছেন নয়াদিল্লি।
এদিকে সুকান্ত মজুমদার নিজের ইচ্ছেয় নয়াদিল্লি যাচ্ছেন এমন নয়। বাংলায় বিজেপির দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা তৈরি করার জন্য তাঁকে ডাকা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। আর তাই রবিবার বালুরঘাট যাওয়ার কথা থাকলেও সেই কর্মসূচি বাতিল করে সোমবার দুপুরে নয়াদিল্লি যাবেন তিনি। আজ রাতে নয়াদিল্লির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে সুকান্তর বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সূত্রের খবর, দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরও মতামত নেওয়া হবে। এদিনের বৈঠকে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকবেন তিনি।
আরও পড়ুন: কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও সমঝোতা নয়, উত্তর–পূর্ব রাজ্যে একক হাঁটতে চায় তৃণমূল
অন্যদিকে বাংলার ২০টি আসনে কিছু ক্ষেত্রে সিটিং এমপিকে সরিয়ে নতুন মুখ আনা হয়েছে। তবে বিজেপির প্রথম দফার প্রার্থী তালিকায় তেমন কোনও চমক নেই বলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। সবার আগে প্রার্থী ঘোষণা করেও ভোটের আগে বাড়ছে অস্বস্তি। আসানসোল থেকে দাঁড়াতে চান না বলে জানিয়ে দিয়েছেন ভোজপুরী অভিনেতা পবন সিং। হাজারিবাগের সাংসদ জয়ন্ত সিনহা এবং পূর্ব দিল্লির গৌতম গম্ভীর জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা আর সাংসদ হবেন না। এটাই বেশ চাপের হয়ে দাঁড়িয়েছে। আসানসোলে দলের বিধায়ককেই আবার প্রার্থী করা হবে নাকি নতুন মুখ আনা হবে তা নিয়ে বৈঠক হবে আজ।
এছাড়া দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকায় চমক রাখতে চান সুকান্ত মজুমদার। সেটা আজ তিনি জানাবেন। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে প্রার্থী করার বিষয়ে কথা হবে বলে সূত্রের খবর। আবার ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে শুভেন্দু অধিকারী কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে দিব্যেন্দু অধিকারীর কথা বলতে পারেন। কারণ তমলুক আসনটি এখন ভাইটাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। তবে এবার তাঁকে তৃণমূল কংগ্রেস টিকিট দেবে না। আবার বিজেপির একটা অংশ চাইছে তমলুকে প্রার্থী করা হোক অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। তাই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। ৬ মার্চ বারাসতে তৃতীয় সভাটি করবেন প্রধানমন্ত্রী। উত্তরবঙ্গেও মোদীর সভা আছে। ৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী চতুর্থ সভা করতে পারেন শিলিগুড়িতে। সেটাও বৈঠকে উঠে আসতে পারে।