সন্দেশখালিতে অস্ত্র উদ্ধারে তল্লাশি চালিয়েছিল এনএসজি। এরপর কী ধরনের অস্ত্র মিলেছে তার একটা তালিকাও সামনে আসে। তবে সেটা ছিল একেবারে প্রাথমিক হিসেব। এবার সিবিআই সোমবার বসিরহাট আদালতে জানিয়েছে সন্দেশখালিতে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে যে অস্ত্র ও বিস্ফোরক মিলেছিল তার একটা ব্যাগ এনএসজি নিয়ে গিয়েছে। সেক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে যে পরিমাণ অস্ত্রের কথা এতদিন বলা হচ্ছিল সেটাই সব নয়। তবে কি আরও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছিল ওই ডেরা থেকে?
এদিকে ওই বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে এমন একাধিক নথি মিলেছিল যাতে ছিল শেখ শাহজাহানের নাম। আর এবার দাবি করা হয়েছে যে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছিল তার মধ্য়ে একটি ছিল শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগিরের ভাইয়ের অস্ত্র।
এদিকে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে যে অস্ত্র সেদিন উদ্ধার করা হয়েছিল তার মধ্য়ে একটি ব্য়াগ নিয়ে যায় এনএসজি। কিছু বিস্ফোরকও নিয়ে যায়। মনে করা হচ্ছে সেই ব্যাগে আরও দুটি অস্ত্র থাকতে পারে। সেই অস্ত্র কার? কেমন সেই অস্ত্র? এসব নিয়েও এবার নতুন করে চর্চা শুরু হয়ে গেল।
শাহজাহান ঘনিষ্ঠ আবু তালেব মোল্লার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল এই অস্ত্র। এরপর গোটা বাংলা জুড়ে কার্যত হইচই পড়ে যায়।
তবে এর আগে সিবিআইয়ের তরফে যে তালিকা দেওয়া হয়েছিল তাতে উল্লেখ করা হয়েছিল কোন কোন অস্ত্র ছিল ওই বাড়িতে।
শুক্রবার সন্দেশখালিতে ২টি ঠিকানায় তল্লাশি চালায় তারা। সেখানে তিন দিকে ভেড়ি দিয়ে ঘেরা একটি পাকা বাড়ির মেঝে খুড়ে বিভিন্ন মাপের ৭টি রিভলভার পেয়েছে তারা। তার মধ্যে ৩টি রিভলভার ও পিস্তল বিদেশি। এর মধ্যে একটি এমন পিস্তল রয়েছে যেটি পুলিশ ব্যবহার করে। এছাড়া রয়েছে একটি দেশি রিভলভার। বিভিন্ন মাপের প্রায় ৩৫০ কার্তুজ পাওয়া গিয়েছিল সেখানে।
আগ্নেয়াস্ত্র ছাড়াও শাহজাহানের ডেরা থেকে বিস্ফোরক উদ্ধার করেছিলেন এনএসজি কমান্ডোরা। সেই বিস্ফোরক বিশেষ রোবটের সাহায্যে নিষ্ক্রিয় করেন NSG কম্যান্ডোরা। এছাড়াও উদ্ধার হয়েছে শেখ শাহজাহানের প্যান কার্ড সহ বেশ কিছু নথি। মিলেছে শেখ শাহজাহানের ব্যবসা সংক্রান্ত বেশ কিছু কাগজ। সব মিলিয়ে গোটা ঘটনায় আরও বিপাকে পড়তে পারে শাহজাহান। তবে সিবিআই দাবি করেছে যে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছিল তার মধ্য়ে একটি ছিল শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগিরের ভাইয়ের অস্ত্র।