সম্প্রতি সিবিআই তদন্ত নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছিলেন বিজেপি সর্বভারতীয় সহ– সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেটিং তত্ত্ব নিয়েও সরব হয়েছিলেন তিনি। তবে আজ, সোমবার সিবিআইয়ের কাজ নিয়ে সুর নরম হতে শোনা গেল বিজেপি নেতার গলায়। আজ সকাল থেকেই রাজ্যজুড়ে অভিযানে নেমেছে সিবিআই–ইডি। রবিবার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কের বাড়িতে গিয়েছিল সিবিআই। যদিও সেখানে ধাক্কা খেতে হয়। তবে আজকের অভিযানে নামার পর সিবিআই নিয়ে সুর নরম করলেন তিনি।
ঠিক কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ? আজ, সোমবার প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে তিনি বলেন, ‘সিবিআই সত্য উদঘাটনের জন্য’। আর পুরুলিয়ার ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর হত্যা মামলায় ঝাড়গ্রাম থেকে শার্প শ্যুটারকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এই নিয়ে দিলীপ বলেন, ‘সিআইডি তদন্ত হল সত্যকে চাপা দেওয়ার জন্য। আর সিবিআই সত্য উদঘাটনের জন্য। তাই সাধারণ মানুষ এখন সিবিআইয়ের দ্বারস্থ হচ্ছেন। কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন। তৃণমূলের যে কর্মী নেতারা মারা গিয়েছেন তাঁদের পরিজনও চাইছেন যে সিবিআই তদন্ত হোক। এই জন্যই তাঁরা কোর্টে গিয়েছেন। আসলে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে আবার সমস্ত কিছু ঘেঁটে দেওয়ার জন্য সিআইডিকে মাঠে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। যেটা মাঝখানে করা হয়েছিল সারদা মামলায়।’
কেন এমন মন্তব্য করলেন বিজেপি সাংসদ? জানা গিয়েছে, আজ বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর বাড়িতেও হানা দিয়েছে সিবিআই। পার্থ–অনুব্রতকে জেলে পাঠানো গিয়েছে। তাতে বিজেপি একটু অক্সিজেন পেয়েছে। কিন্তু বীজপুরে সাফল্য মেলেনি। এই পরিস্থিতিতে মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ বলেন, ‘সিবিআই সবকিছুরই তদন্ত করছিল। কিন্তু এতদিন সেই তদন্ত ঠিক মতো এগোচ্ছিল না বলে আমরাও বলেছিলাম। সাধারণ মানুষও চিন্তা করছিল। তাঁদের লোক সংখ্যা কম আছে। এত বড় কেস। তাই তদন্তের গতি ধীরে এগোচ্ছিল। এবার সব সত্য সামনে আসবে।’
আগে কী বলেছিলেন দিলীপ ঘোষ? কিছুদিন আগে উল্টো সুর শোনা গিয়েছিল দিলীপ ঘোষের গলায়। সিবিআই তদন্ত নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘গত কয়েক মাস ধরে এখানে সিবিআই তদন্ত চলছে। কিন্তু, কেউ ধরা পড়ছিল না। কোনও এফেক্ট পড়ছিল না, কোনও ডকুমেন্ট আসছিল না! এর কারণ কী? সর্ষের মধ্যে ভূত ছিল। কিছু অফিসারকে পরিবর্তনও করা হয়েছে। যথারীতি যা হয় আর কী, সবাই বিক্রি হয়। তার দাম থাকে। কেউ লক্ষে হয়, কেউ কোটিতে। সেভাবে বিক্রি হচ্ছিল। এটা সরকার বুঝতে পেরেছে। আমি যতদূর শুনেছি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর বিশেষ প্রয়াসে শেষে ইডি এসেছে। তারপর কাজ শুরু হয়েছে।’