‘নৈতিকতার আঁধারে পার্থবাবুর উচিত পদত্যাগ করা’‌, এসএসসি নিয়ে তোপ দিলীপের

কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই মালার শুনানিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীকে। যদিও তিনি এমন পরামর্শ দিতে পারেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশিষ্ট আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

এসএসসি দুর্নীতি নিয়ে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম জড়িয়েছে। তাঁকে সিবিআই জেরা পর্যন্ত করেছে। আবার তাঁকে জেরা করবেন। এই পরিস্থিতিতে সিঙ্গল বেঞ্চ, ডিভিশন বেঞ্চ থেকে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত দৌড়েছেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী। আর এই বিষয়টি দেখে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ তাঁকে পদত্যাগ করার কথা বলেছেন।

ঠিক কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ?‌ আজ, রবিবার নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণ করতে এসে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘নৈতিকতার আঁধারে পার্থবাবুর উচিত পদত্যাগ করে নেওয়া। একজন মন্ত্রী হয়ে তিনি দৌড়ে বেড়াচ্ছেন বাঁচার জন্য। তাই ওনার পদত্যাগ করে বাকি কাজ করা উচিত। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস সরকার নীতি–নৈতিকতার ধার–ধারে না। এখন মন্ত্রী–নেতাদের বাঁচাতে সাধারণ মানুষের টাকা খরচ করা হচ্ছে।’‌ দিলীপবাবুর এই মন্তব্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

কেন পদত্যাগের প্রসঙ্গ তুললেন মেদিনীপুরের সাংসদ?‌ কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই মালার শুনানিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীকে। যদিও তিনি এমন পরামর্শ দিতে পারেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশিষ্ট আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সরাসরি পদত্যাগ করার পরামর্শ দিলেন দিলীপ ঘোষ।

আর কী বলছেন দিলীপ ঘোষ?‌ এদিন মেদিনীপুরের সাংসদ এসএসসি মামলা প্রসঙ্গে বলেন, ‘‌পার্থবাবু দৌড় বলছে তিনি অপরাধের সঙ্গে যুক্ত। সমস্ত চাকরির পরীক্ষাতেই কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি হয়েছে। তাই উপায় না দেখে চাকরি–প্রার্থীরা আদালতে যাচ্ছেন। আমরা আশা করব সকলে ন্যায়বিচার পাবেন। আর দোষীরা শাস্তি পাবেন।’‌