রাজ্যের প্রতিটি বিষয়ে বিরোধিতায় সুর চড়িয়েছেন তিনি। একুশের নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পরও তাঁর মুখে শোনা গিয়েছিল বিরোধিতার সুর। আর ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ের পর তাঁর মুখেই শোনা গেল প্রশংসা। হ্যাঁ, তিনি বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এবার তাঁর গলাতেই মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি প্রশংসার সুর। ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় রাজ্যের ভূমিকার প্রশংসা করলেন বিজেপি সাংসদ। আসলে তাঁকে মাঠে নেমে কাজ করতে হয়নি বলেই এই প্রশংসা বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কুশীলবরা।
তবে শুধু তিনিই নন, মুখ্যমন্ত্রীর সবচেয়ে বড় নিন্দুক রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও নবান্নে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করে এসেছেন। আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সারারাত জেগে কন্ট্রোল রুমে রাজ্যের উপর আসা দুর্যোগকে মোকাবিলা করে গিয়েছেন। বিপদ কেটেছে কলকাতার। তবে জেলায় জেলায় এখনও বৃষ্টি চলবে বলে খবর। বুধবার ঘূর্ণিঝড় বালেশ্বরে আছড়ে পড়লেও প্রবল বৃষ্টিতে ভিজেছে কলকাতা–সহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা। দিঘার পরিস্থিতি ক্রমশই ভয়াল রূপ নিয়েছে। নারকেল গাছের উপর দিয়ে সমুদ্রের ঢেউ গিয়েছে বলেও দাবি অনেকের। নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে গোটা পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছেন। আগেই উপকূলের ১১ লক্ষ মানুষকে সরানো হয়েছে ত্রাণ শিবিরে। জনজীবন যাতে বিপর্যস্ত না হয় তার জন্য একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। এই পরিস্থিতি দেখে রাজ্যের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
ঠিক কী বলেছেন তিনি? এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আমফানের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে রাজ্য সরকার এবার যথেষ্ট ভাল কাজ করেছে। ঝড় নিয়ে উপকূলের মানুষকে সতর্ক করেছে। নিরাপদ আস্তানায় সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বোঝা যাবে ক্ষয়ক্ষতি। আপাতদৃষ্টিতে সব কিছু ঠিক হচ্ছে বলেই মনে হচ্ছে।’ দিলীপ ঘোষের গলায় এবার অন্য সুর শুনে অনেকে বলছেন, বিলম্বিত বোধোদয়।