লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রশাসনের একাংশকে ব্যবহার করে ভোটার চুরির অভিযোগে গত শুক্রবারই সরব হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তালিকা থেকে নাম বাদ যাওয়ার ভোটারদের সঙ্গে নিয়ে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। এবার কারচুপির তদন্তের দাবিতে প্রতিটি মহকুমায় আন্দোলনের কথা ঘোষণা করলেন তিনি। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের সমস্ত মহকুমাশাসকের দফতর অভিযানের ডাক দিয়েছেন শুভেন্দুবাবু। সেদিন ফের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করে ভোটার তালিকা সংশোধনের দাবি জানাবেন তিনি।
শুভেন্দুবাবুর দাবি, প্রশাসনের একাংশকে সঙ্গে নিয়ে পরিকল্পনা করে ভোটার তালিকা থেকে বিজেপি কর্মীদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। কোনও নিয়ম না মেনে নোটিশ না দিয়ে বাদ দেওয়া হয়েছে নামগুলি। গত শুক্রবার এই রকম বেশ কয়েকজন বঞ্চিত ভোটারকে নিয়ে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবের সঙ্গে দেখা করেন শুভেন্দুবাবু। নথি দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেন কী ভাবে কারচুপি হয়েছে।
বিজেপির দাবি, শুধু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবার নয়, রাজ্যের প্রায় সমস্ত বিধানসভা কেন্দ্রে এভাবে একাধিক বিজেপি কর্মীর নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নাম রয়ে গিয়েছে মৃত ভোটারদের। এভাবে বিধানসভা কেন্দ্র পিছু ৫০০০ জনের ক্ষেত্রে কারচুপি করেছে তৃণমূল। শুভেন্দুবাবুর দাবি, দুর্নীতি করে যে সমস্ত বিডিও ও সরকারি আধিকারিকরা চাকরি পেয়েছেন এই কাজে তাদেরই ব্যবহার করছে তৃণমূল।
বিজেপির দাবি, লোকসভা ভোটের আগে সমস্ত বৈধ ভোটারের নাম ভোটার তালিকায় তুলতে হবে। বাদ দিয়ে হবে মৃত ও স্থানান্তরিত ভোটারদের নাম। সেই দাবিতেই ১২ ফেব্রুয়ারি সমস্ত মহকুমা শাসকের দফতর অভিযান করতে চলেছে তারা।