নারদকাণ্ডে অভিযুক্ত ৪ নেতামন্ত্রীকে গৃহবন্দি থাকার অনুমতি দিলেও তাদের ওপর কড়া নজরদারির নির্দেশ দিয়েছে আদালত। রীতিমতো বাড়ির সামনে সিসিটিভি বসিয়ে কে ঢুকছে কে বেরোচ্ছে সমস্ত কিছুর ওপর ২৪ ঘণ্টা নজর রাখতে বলা হয়েছে জেল আধিকারিকদের। ভিডিয়ো কল বা কনফারেন্সিংয়ে কারও সঙ্গে যুক্ত হলে তাও লিপিবদ্ধ রাখতে বলা হয়েছে। আদালতের স্পষ্ট নির্দেশ, শর্ত ভাঙলে প্রত্যাহার করা হতে পারে এই সুবিধা।
নারদকাণ্ডে অভিযুক্ত ফিরহাদ, সুব্রত, মদন ও শোভনকে আপাতত ২ দিন গৃহবন্দি থাকার অনুমতি দিয়েছে আদালত। তার মধ্যে ফিরহাদ বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নিলেও বাকিরা হাসপাতালেই থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। গৃহবন্দি থাকার শর্ত হিসাবে একাধিক নির্দেশ দিয়েছে আদালত। নির্দেশে বলা হয়েছে, চার অভিযুক্ত বাড়ি বা হাসপাতাল যেখানেই থাকুন না কেন, তাদের দরজার সামনে লাগাতে হবে সিসিটিভি ক্যামেরা। কোনও সরকারি আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না অভিযুক্তরা। ফাইল পত্তর পাঠাতে হবে অনলাইনে। যদি কেউ তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে চান তাহলে তা নথিভুক্ত করতে হবে। এমনকী অভিযুক্তরা কারও সঙ্গে ফোনে বা ভিডিয়ো কলে কথা বললে তা নথিভুক্ত করতে হবে।
শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে নারদকাণ্ডে অভিযুক্তদের জামিনের মামলাটি ওঠে। মামলায় অভিযুক্তদের সাময়িক স্বস্তি দিয়ে গৃহবন্দি থাকার নির্দেশ দেয় আদালত। সঙ্গে মামলাটির বৃহত্তর বেঞ্চে শুনানির নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতিরা। সেজন্য শুক্রবার ৫ সদস্যের বিশেষ বেঞ্চ গঠন করেছেন প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল। সোমবার বেলা ১১টায় মামলার শুনানি।