‘পুরাণেই তো আছে বলা সৌরসে ভিজিয়ে গলা’—বিখ্যাত গানের লাইনটি এখন বাংলায় জোর চর্চিত হচ্ছে। কারণ হাতে আর তিনদিন বাকি। রামমন্দির উদ্বোধন হবে আগামী ২২ জানুয়ারি। আর এই দিনই রাজ্যজুড়ে খোলা থাকবে মদের দোকান। এই দিনটিকে ‘ড্রাই ডে’ ঘোষণার দাবি করে মামলা দায়ের হয় আদালতে। আজ, বৃহস্পতিবার এই মামলা খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ২২ তারিখ তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সংহতি দিবস পালন করা হবে। এই কর্মসূচিকেও বাতিল করার আর্জি নিয়ে মামলা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টে তাঁর মুখ পুড়েছে। এই মিছিলেও অনুমতি দেয় আদালত। তবে শর্তসাপেক্ষে।
এদিকে মদের দোকান খোলা থাকার সঙ্গে অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধনের কোনও সম্পর্ক দেখতে পাননি বিচারপতি। তাই আজ, বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ। সুতরাং ২২ জানুয়ারি রামমন্দির উদ্বোধনের দিন গোটা রাজ্যজুড়ে খোলা থাকবে মদের দোকান। যাঁরা সুরাপ্রেমী তাঁদের জন্য সুখবরই রইল। সেদিন নিশ্চিন্তে মদ কিনতে যেতে পারবেন তাঁরা। কেউ বাধা দেবে না। পুলিশও ধরবে না। রোজকার মতোই খোলা থাকবে এফএল শপ।
অন্যদিকে মদের দোকান বন্ধ রাখার সপক্ষে মামলাকারীদের দাবি ছিল, রামমন্দির উদ্বোধনের দিন গোটা রাজ্যজুড়ে মদ্যপান বিরোধী দিবস হিসাবে মান্যতা দেওয়া হোক। ওই দিনটিকে রাজ্যে ‘ড্রাই ডে’ হিসেবে ঘোষণা করা হোক। নিজেদের দাবির সপক্ষে মামলাকারীদের বক্তব্য, ‘ইতিমধ্যেই চারটি রাজ্য ওই দিনটিকে ড্রাই ডে হিসেবে ঘোষণা করেছে। তাই বাংলাতেও ওই দিনটিকে ড্রাই ডে হিসেবে ঘোষণা করা হোক।’ যদিও এই দাবির সঙ্গে নিয়মের সংঘর্ষ ঘটছে বলে দেখতে পান বিচারপতিরা। তাই পত্রপাঠ এই আবেদন খারিজ করে দেন। আর তখনই খুশিতে নেচে ওঠেন সুরাপ্রেমীরা।
আদালত সূত্রে খবর, আজকের শুনানিতে রাজ্যের পক্ষ থেকে মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেওয়া হয়। এমনকী অবিলম্বে তা খারিজ করার আবেদন জানানো হয়। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ দু’পক্ষের সওয়াল–জবাব শুনে জানিয়ে দেন, ড্রাই ডে ঘোষণার ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। সেটা দেখার জন্য স্টেট বেভারেজ কর্পোরেশন আছে। তাঁদের এই বিষয়টি নিয়ে একাধিক বিধি রয়েছে। তাই এই বিষয়ে আদালত কোনও হস্তক্ষেপ করতে পারে না। তাই মামলাটি পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।