ভারত সরকারের নিয়ম মেনেই বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি পাশ করার পর এ রাজ্যে শিক্ষকতা করেছেন। কিন্তু অবসর নেওয়ার পর থেকে পাচ্ছিলেন না পেনশন এবং গ্র্যাচুইটির সুবিধা। সেই মামলায় অবিলম্বে অবসরপ্রাপ্ত ওই স্কুল শিক্ষকের পেনশন চালু করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে ২০১৩ সালের ৩১ মার্চ থেকে আট শতাংশ সুদ-সহ বকেয়া গ্র্যাচুইটি মেটানোর নির্দেশ দিল
অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষকের নাম শেখ হায়দার আলি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৫ সালে তিনি এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। তারপর তিনি ১৯৭৮ সাল থেকে এ রাজ্যের স্কুলে চাকরিতে যোগ দেন। পরের বছর তাঁর চাকরি স্থায়ী হয়ে যায়। তারপর থেকেই দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করেছিলেন। শিক্ষকতা থেকে তাঁর অবসর নেওয়ার পরেই শুরু হয় সমস্যা। পেনশনের জন্য তিনি রাজ্য সরকারের পেনশন দফতরে গেলে প্রশ্ন ওঠে তাঁর বাংলাদেশের ডিগ্রি নিয়ে। এরপর ডিগ্রি সার্টিফিকেট-সহ সমস্ত কিছু যাচাই করার পর পেনশন দফতরে আবার আবেদন জানান। তারপরও মেলেনি পেনশন।
তাঁর আইনজীবী এক্রামুল বারি জানান, ২০১৩ সালের ২২ জানুয়ারি পেনশন দফতরের অধিকর্তা চিঠি দিয়ে তাঁর শংসাপত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তার ভিত্তিতে হাওড়ার স্কুল জেলা পরিদর্শক শিক্ষকের নথিপত্র যাচাই করে সবকিছু ঠিক রয়েছে বলেই পেনশন দফতরকে জানান। তারপরেও শিক্ষককে পেনশন দেওয়া হয়নি। অবশেষে ২০১৬ সালে তিনি কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন।
আইনজীবী জানান, হায়দার আলি সেই সময় নিয়ম মেনেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি পাস করেছিলেন। এমনকী তাঁর শংসাপত্র যাচাই করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে স্বাক্ষরও করা হয়। ভারতীয় হাইকমিশনের কনস্যুলার তাঁর শংসাপত্র অ্যাটেস্টেড করেছিলেন। যদিও আদালতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়েছিল, তিনি পেনশন পাওয়ার যোগ্য নন। তবে সেই বক্তব্য মানতে রাজি হয়নি আদালত। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির সৌগত ভট্টাচার্য নির্দেশ দিয়েছেন যত দ্রুত সম্ভব ওই শিক্ষকের পেনশন চালু করে বকেয়া গ্র্যাচুইটি মেটাতে হবে।