পোস্তা বাজারে বেআইনি পার্কিংয়ের সমস্যা দীর্ঘদিনের। এই সমস্যা মেটাতে এবার তৎপর হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার পোস্তায় জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে সেখানকার সমস্যার সমস্যা নিয়ে কার্যত হুঁশিয়ারি দিলেন তোলাবাজদের। একইসঙ্গে এই সমস্যা সমাধানের জন্য মেয়র ফিরহাদ হাকিমের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে দিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, বেআইনি পার্কিং করে যারা মানুষের কাছ থেকে টাকা তুলছে তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এছাড়া পোস্তা বাজারে এগ্রো মার্কেটিং সেন্টার গড়ে তোলার জন্য মন্ত্রী বেচারাম মান্নাকে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: রোহিতদের প্র্যাকটিস জার্সির রং বদল আসলে গেরুয়াকরণের চেষ্টা, দাবি মমতার
মুখ্যমন্ত্রী জানান, পোস্তা বাজারে যেখানে বেআইনি পার্কিং করা হচ্ছে সেটা রাজ্য সরকারের জায়গা। যদি কেউ কলকাতা বন্দর থেকে নথি নিয়ে এসে বলে এটা তার জায়গা, সেটার কোনও বৈধতা নেই। এই পার্কিংকে যাতে বেআইনি ঘোষণা করা যায় সে বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে আইনমন্ত্রী এবং পোস্তা বাজার কমিটির সঙ্গে কথা বলতে বলেছেন। এছাড়া পোস্তার ব্যাবসায়ীদের তিনি আশ্বাস দিয়েছেন কোনও দালাল বা মাফিয়া বেআইনিভাবে তাদের কাছ থেকে তোলা তুলতে পারবে না। এই সমস্যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কমিটি গঠন করতে বলেন। কমিটিতে কারা থাকবে? সেবিষয়টিও বলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পোস্তা বাজার কমিটি, শ্রমিকদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে পুলিশ, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, শশী পাঁজাকে নিয়ে ফিরহাদ হাকিমকে এই কমিটি গঠন করতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, এটা রাজ্য সরকারের জায়গা। কেউ বেআইনিভাবে পার্কিং করলে তা মেনে নেওয়া হবে না। যদি কেউ রশিদ না দিয়ে টাকা নেই তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে। প্রয়োজনে গ্রেফতার করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।প্রসঙ্গত, পোস্তা বাজারে জমি নিয়ে এখনও মামলা চলছে আদালতে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, এখনও এই জমিটি রাজ্য সরকারের অধীনে রয়েছে।
পোস্তা হল কলকাতার একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার। এটি হল পূর্ব ভারতের সবচেয়ে বড় বাজার। প্রতিদিন এখানে ১৫০–২০০ পণ্যবোঝাই গাড়ি আসে বিভিন্ন রাজ্য থেকে। কিন্তু, গাড়ি পার্কিং করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় ব্যবসায়ীদের। কয়েক বছর আগে পোস্তা বাজারকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা করেছিল রাজ্য সরকার। এদিন সেখানে এগ্রো মার্কেটিং সেন্টার গড়ে তোলা হলে কী লাভ হবে? সে কথাও তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। এই বিষয়ে তিনি বেচারাম মান্নাকে শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করার নির্দেশ দিয়েছেন।