এই নিয়ে তিনবার নন্দীগ্রামে পরাজয়ের বিষয়টি সামনে আনলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একুশের নির্বাচনে সেখানেই প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সামান্য ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন তিনি। যদিও সরকার তৈরি হয়ে যায় তাঁর। একবার জয়ী ঘোষণা হয়েও পরে পরাজিত হয়েছেন শুনতে হয় তাঁকে। এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও চলছে। এবার ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে উপনির্বাচন। সেখানে প্রার্থী তিনিই। তাই বুধবার প্রচারে তাঁর কন্ঠে উঠে এলো ফের নন্দীগ্রামের কথা।
ইতিমধ্যেই শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, যতদিন বেঁচে থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ততদিন কানে বাজবে নন্দীগ্রামে হারের কথা। এবার এই ইস্যুতে সুর চড়ালেন তিনি। ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী? খিদিরপুরে ভোটপ্রচারে গিয়ে তিনি বলেন, ‘নন্দীগ্রামে লড়াই করতে গিয়েছিলাম। আদালতে মামলা চলছে। কীভাবে হারানো হয়েছে তা আপনারা জানেন। ওরা কি না করেছে!’ অর্থাৎ আবারও তিনি বুঝিয়ে দিলেন তিনি জনমতের ভিত্তিতে হারেননি। বরং গভীর ষড়যন্ত্র করে তাঁকে হারানো হয়েছে।
তবে তিনি আশাবাদী। তাই এখান থেকে তিনি জিতছেন তা একপ্রকার দৃঢ়চিত্তে জানিয়ে দিলেন ফায়ার ব্র্যান্ড লেডি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই ভবানীপুরে প্রচার তুঙ্গে উঠেছে। সর্বত্র যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। শেষ সপ্তাহে ঝোড়ো প্রচারে নেমেছেন তিনি। সেখানেই তাঁর সঙ্গে হওয়া ষড়যন্ত্র তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে ভবানীপুরে ভাগ্যই তাঁকে ফিরিয়ে এনেছে বলেও মন্তব্য করেন।
ভবানীপুর নিয়ে কী বলেছেন তিনি? তৃণমূল সুপ্রিমোর কথায়, ‘সাত দফায় সাংসদ হয়েছি। প্রতিবার খিদিরপুর সঙ্গে ছিল। ২০১১ সালে উপনির্বাচনে আপনারা ভোট দিয়েছিলেন। ভবানীপুর থেকে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছি। ২০১৬ সালেও এখান থেকে নির্বাচিত হয়েছিলাম। এটা ভাগ্যের খেলা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হলে ভবানীপুর থেকেই হবেন। আল্লাহ মেহেরবান, মা দুর্গা, কালী ঠাকুরের ইচ্ছা এটা। আপনাদের ছেড়ে যাওয়া সম্ভব নয়।’