আনন্দপুরকাণ্ডে আদালতে চাঞ্চল্যকর মোড়। মামলা প্রত্যাহার করতে চেয়ে আদালতে হলফনামা দিলেন নির্যাতিতা তরুণী। তাঁর দাবি, ‘ভুল করে মামলা করে ফেলেছিলাম।’ অভিযোগকারিনীর এহেন প্রতিক্রিয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে আইনজীবী মহলে।
পুলিশ হেফাজতের মেয়াদ শেষে আনন্দপুর কাণ্ডে অভিযুক্ত অভিষেক পাণ্ডেকে বুধবার আদালতে পেশ করে পুলিশ। আলিপুর আদালতে বিচারকের কাছে হলফনামা জমা দিয়ে অভিযোগকারিনী দাবি করেন, ভুল করে মামলা করে ফেলেছিলেন তিনি। এই মামলা তিনি আর চালাতে চান না। তাই অভিযুক্তকে জামিন দিলে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। পালটা পুলিশের তরফে সওয়ালে বলা হয়, মামলায় আক্রান্ত নীলাঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়ের গোপন জবানবন্দি এখনো গ্রহণ করা হয়নি। হয়নি টিআই প্যারেড। ফলে অভিযুক্তকে জামিন দেওয়া ঠিক হবে না।
অভিযোগকারিনী মামলা চালাতে বেঁকে বসলেও অভিষেক পাণ্ডের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেননি বিচারক। জামিনের আবেদন খারিজ করে তিনি জানিয়েছেন, অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর তাই অভিষেককে জামিন দেওয়া সম্ভব নয়। ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অভিযুক্তকে জেল হেফাজতে পাঠান তিনি।
আনন্দপুর কাণ্ডে অভিযোগকারিনীর এই অবস্থানে হতবাক আইনজীবী ও বিদ্বজ্জন সমাজ। তাঁদের একাংশের দাবি, পুলিশকে ভুল পথে চালনার অভিযোগে অভিযোগকারিনীকেই গ্রেফতার করা উচিত তদন্তকারীদের। নীলাঞ্জনাদেবীর স্বামী বলেছেন, ‘এর শেষ দেখে ছাড়বো।’
গত ৬ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে স্বামীর সঙ্গে গাড়িতে করে বাড়ি ফেরার সময় আনন্দপুর এলাকার রাস্তায় অন্য একটি গাড়িতে এক মহিলার ওপর নির্যাতন হতে দেখেন নীলাঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়। গাড়ি থেকে নেমে নির্যাতিতা মহিলাকে উদ্ধার করতে যান তিনি। ততক্ষণে ওই মহিলাকে গাড়ির দরজা খুলে বাইরে ফেলে দিয়েছেন চালক। এর পর গাড়িটি থামাতে গেলে নীলাঞ্জনাকে ধাক্কা মেরে তাঁর পায়ের ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেয় সে। তার জেরে নীলাঞ্জনার একটি পায়ের হাড় ভেঙে ২ টুকরো হয়ে যায়। অস্ত্রোপচারের পর রবিবার হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়েছেন তিনি।