হাতে বেশি সময় নেই। আর ৪৫ দিনের মাথায় বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। আর এই পুজো নির্বিঘ্নে কাটাতে চায় রাজ্য সরকার। কারণ বাংলার দুর্গাপুজো ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেয়েছে। তাই এবার রাজ্যে বড় আকারে উৎসব হবে। এই কারণে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ১৮ বছরের ঊর্ধ্ব সবাইকে করোনাভাইরাসের বুস্টার ডোজ দেওয়ার পরিকল্পনা করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কেমন পরিস্থিতি এখন রাজ্যে করোনাভাইরাসের? স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, পরপর দুদিন রাজ্যে বেড়েছে করোনাভাইরাসের গ্রাফ। দৈনিক সংক্রমণ বেড়ে গিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে সংক্রমণ ৩১৩ এবং মৃত্যু বেড়ে হয়েছে ৩। তাতে একটু চিন্তার ভাঁজ কপালে পড়েছে রাজ্য সরকারের। এটা যদি বাড়তে থাকে তাহলে দুর্গাপুজো মহাসমারোহে করা যাবে না। এই মুহূর্তে সংক্রমণের হার ৩.০৯%। তাই ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ১৮ উর্ধ্ব সবাইকে বুস্টার দিয়ে রাজ্যকে সুরক্ষিত করতে চাইছে সরকার।
আর কী জানা যাচ্ছে? দেশেও বেড়েছে করোনাভাইরাস। গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ হাজারের গণ্ডি টপকে গিয়েছে করোনাভাইরাস। তবে কমেছে মৃতের সংখ্যা। বুধবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাযভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ১০ হাজার ৬৭৭ জন। এটাই উদ্বেগের বিষয়। কারণ মঙ্গলবারই ছিল ৮ হাজার ৫৮৬ জন। সুতরাং বাড়তে শুরু করেছে এটা স্পষ্ট। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৩৬ জনের। আর মঙ্গলবার মৃত্যুসংখ্যা ছিল ৪৮।
বিষয়টি ঠিক কী দাঁড়াচ্ছে? এখন রাজ্যে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। তবে সেখানে লাগাম না পরালে বেড়ে যাবে। এই যেটুকু বেড়েছে সেটাকেই নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে হবে। এখন অনেকেই মাস্ত পরা ভুলে গিয়েছেন। ভিড় বাড়ছে সর্বত্র। দেশে করোনাভাইরাসের টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে ২১০ কোটি ৫০ লক্ষের বেশি মানুষকে। গত ২৪ ঘণ্টাতেই টিকা পেয়েছেন ২৭ লক্ষের বেশি। বুধবার দেশে ৪ লক্ষ ৭ হাজার ৯৬ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার বুস্টার ডোজ দেওয়ার সময়সীমা বেঁধে ফেলল।