পুরভোটকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন প্রান্তে অশান্তি ছড়িয়েছে। ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ উঠেছে বহু বুথে। এই অভিযোগে বড়তলা থানার সামনেই অবস্থান বিক্ষোভে বসল বাম এবং কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, ভোট লুট করা হয়েছে।
শ্যামপুকুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ১৭ ও ১৮ ওয়ার্ডে বাম এবং কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা যৌথভাবে প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন। বাম প্রার্থীদের অভিযোগ, ১৭ এবং ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে বুথের ভিতর সিপিএমের কোনও এজেন্টকে বসতে দেওয়া হচ্ছে না। শুধু তাই নয় সাধারণ মানুষকে ভোট দিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। আটক করে রাখা হচ্ছে প্রিসাইডিং অফিসারকে। এমনকি বয়স্ক ভোটারদেরও ধাক্কা মেরে বের করে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। ঘটনা পুলিশকে জানানো হলেও পুলিশের পক্ষ থেকে কোনওরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে তাদের অভিযোগ।
ওই দু'টি ওয়ার্ডে তৃণমূল নিজেদের লোক দিয়ে ছাপ্পা ভোট করাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বাম প্রার্থী মতিলাল ঘোষ। পার্শ্ববর্তী ১৫ এবং ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে তিনি ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তুলেছেন। অভিযোগ, সাধারণত ভোটের পরেই ১৬ সি ফর্ম ফিলাপ করা হয়। এখনও ভোট শেষ হওয়ার আগেই সেই ফর্ম ফিলাপ করা হয়ে যায় ওই দু'টি ওয়ার্ডে। অন্যদিকে, বিজেপিও অবস্থান বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, এবারের পুরভোটে বহু বুথে বিরোধীদলের এজেন্টদের ভিতরে বসতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভোট শুরু হওয়ার পর থেকেই শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই অভিযোগ উঠে এসেছে। সিপিএম প্রার্থী শ্রাবণী চক্রবর্তীর অভিযোগ, 'কোনও এজেন্টকে ভিতরে বসতে দেওয়া হচ্ছে না। একজন এজেন্টের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে' বলেও তাঁর অভিযোগ। 'ভোটের নামে প্রহসন কেন? পুরপ্রশাসন জবাব দাও' এই প্লেকার্ড হাতে নেই এ দিন বড়তলা থানার সামনে কংগ্রেস এবং বাম কর্মী-সমর্থকরা অবস্থান-বিক্ষোভ করেন।