একটি আয়ুর্বেদিক স্পাতে মহিলা কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃতা কর্মীর নাম মাধবী মণ্ডল। বৃহস্পতিবার ওই আয়ুর্বেদিক স্পায়ের অফিস থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় মাধবীর। ঘটনাটি ঘটেছে সল্টলেকের এডি ব্লকে। এই ঘটনায় খুনের অভিযোগ তুলেছে পরিবার। বিধাননগর উত্তর থানায় পরিবারের পক্ষ থেকে খুনের অভিযোগ জানানো হয়েছে। এই অভিযোগ পাওয়ার পরেই পুলিশ স্পায়ের মালিককে গ্রেফতার করেছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: প্রেমিকাকে গুলি করে খুন বারুইপুরে, হাড়হিম ঘটনার মধ্যেই আত্মঘাতী প্রেমিক
পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর অঞ্চলের বাসিন্দা মাধবী মণ্ডল। সল্টলেকের এ ডি ব্লকের একটি আয়ুর্বেদিক স্পাতে তিনি কাজ করতেন। বৃহস্পতিবার সকালে নিজের বাড়ি থেকে বেরিয়ে সল্টলেকের স্পাতে কাজে যোগ দেন মহিলা। অভিযোগ, দুপুরবেলায় ওই মহিলার স্বামীকে স্পায়ের মালিক ফোন করে জানায়, তার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এবং তাড়াতাড়ি তাকে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে যেতে বলেন। খবর পেয়ে বিধান নগরমহকুমা হাসপাতালে যান মাধবী মণ্ডলের স্বামী মুরারী মণ্ডল। হাসপাতালে গিয়ে তিনি জানতে পারেন স্ত্রী মারা গিয়েছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে জানানো হয়, আয়ুর্বেদিক স্পায়ের ভেতরে ঝুলন্ত অবস্থায় তার স্ত্রীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। এরপরই তার স্বামী বিধাননগর উত্তর থানায় স্পায়ের মালিক রজত হালদারের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। তার দাবি, রজত হালদার তার স্ত্রীর ওপর নানাভাবে মানসিক নির্যাতন করত। মৃতার স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে রজত হালদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মুরালি মণ্ডল বলেন, ‘প্রতিদিনকার মতো এদিনও রান্না করে কাজে বেরিয়ে গিয়েছিল মাধবী। এরপর দুপুর ২ টো নাগাদ স্পা থেকে আমাকে ফোন করে জানানো হয় মাধবী অসুস্থ। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তা শুনে আমি কাউকে কিছু না বলে হাসপাতালে চলে যায়। সেখানে গিয়ে দেখি মাধবী মৃত।’ তার অভিযোগ, স্পায়ের মালিক তাকে দিয়ে খারাপ কাজ করাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, তাতে রাজি হননি মাধবী। সেই কারণে তাকে খুন করা হয়েছে। তার মতে, মাধবী একজন ভালো মেয়ে। সে খারাপ কাজ করতে না চাওয়াতেই খুন করা হয়েছে। তার অভিযোগ, মাধবী প্রায়ই তাকে বলতেন যে মালিক ভালো মানুষ নন। এর পাশাপাশি মাধবী যাতে কাজটি ছেড়ে না যায় তার জন্য তার এক মাসের মাইনে মালিক সব সময় বকেয়া রাখত বলে অভিযোগ।