সংসদে হামলার ঘটনায় মূলচক্রী অভিযুক্ত ললিত ঝার সঙ্গে বাংলার যোগ পেয়েছিল দিল্লি পুলিশ। গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি উড়ে যাওয়ার আগেই দাবি করেছিলেন, সংসদে হামলার ঘটনার সঙ্গে বাংলার যোগ নেই। ঝাড়খণ্ড, বিহারের যোগ থাকতে পারে। তবে মুখ্যমন্ত্রীর সেই দাবিকে গুরুত্ব না দিয়ে এবার বাংলায় এল দিল্লি পুলিশের স্পেশাল টিম। আজ সোমবার কলকাতার বড়বাজার এবং হালিশহরে হানা দেয় দিল্লি পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দলের তিন সদস্য।
আরও পড়ুন: সংসদে তাণ্ডবে মূলচক্রী ললিত ঝা তৃণমূল যুবার নেতা, দাবি শুভেন্দুর
জানা গিয়েছে, কলকাতার বড়বাজারের ২১৮ নম্বর রবীন্দ্র সরণির বাড়িতে এ দিন তল্লাশি চালায় দিল্লি পুলিশ। সঙ্গে ছিল কলকাতা পুলিশ। সেখানে প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ললিতের সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে চায় দিল্লি পুলিশ। ওই বাড়িতে ললিত টিউশন পড়াত বলে জানা গিয়েছে। এর পাশাপাশি গিরিশ পার্ক থানাতেও যান দিল্লির তদন্তকারীরা। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করে বাগুইআটির যায় দিল্লি পুলিশের দল। জানা গিয়েছে, দিল্লিতে সংসদে হামলার আগে বাগুইআটির এই বাড়িতে ভাড়া থাকত ললিত। সে ক্ষেত্রে সেখানেও প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তার সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানার জন্যই মূলত তদন্ত চালাচ্ছে দিল্লি পুলিশের প্রতিনিধি দল। আরও কার সঙ্গে ললিতের যোগসূত্র ছিল সেই সমস্ত বিষয়ে তারা তথ্য জানার চেষ্টা করছে।
উল্লেখ্য, সংসদে হামলার ঘটনায় দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেলের দলগুলি ৬টি রাজ্যে রাজস্থান, হরিয়ানা, কর্ণাটক, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ এবং মহারাষ্ট্রে তদন্ত চালাচ্ছে। গত ১৩ ডিসেম্বর সংসদে শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন হামলার ঘটনা ঘটে। সংসদের পাবলিক গ্যালারি থেকে লোকসভার চেম্বারে ঝাঁপিয়ে পড়ে দুই যুবক। তাঁদের হাতে ছিল ক্যানিস্টার। সেখান থেকে হলুদ ধোঁয়া বেরোতে থাকে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংসদে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়। এই ঘটনায় তদন্ত করছে ৫০টি পৃথক দল। তারা অভিযুক্তদের ডিজিটাল ও ব্যাঙ্কের বিবরণ এবং ব্যাকগ্রাউন্ড খতিয়ে দেখছে। সম্প্রতি, এই বিশেষ সেল টিম রাজস্থানের নাগৌর থেকে অভিযুক্তদের পোড়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে৷ শনিবার অভিযুক্তদের বিশেষ সেলের বিভিন্ন ইউনিটে হস্তান্তর করা হয়েছে।