গত বছর পুজোর পর ফের বুধবার, ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতিকে নিয়ে অস্বস্তিতে বিজেপি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা না পেয়ে সরাসরি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন সৌমিত্র খাঁ। সঙ্গে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের প্রকাশ্যে মুন্ডুপাত করেন তিনি। ছেড়ে দেওয়ার বান্দা নন দিলীপও। রাতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পালটা দিয়েছেন তিনিও।
বুধবার নিজের ইস্তফার কথা ঘোষণার পর এক ফেসবুক লাইভে সৌমিত্র খাঁ বলেন, ‘আমাদের মাননীয় সভাপতিকে বললেও তিনি অর্ধেকটা বোঝেন, অর্ধেকটা বোঝেন না। বাংলায় বিজেপি যেভাবে চলছে, তাতে ভাল কিছু হবে না।’
একই সঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও আক্রমণ করেন তিনি। নাম না করে বলে, আমি পরিবারের জন্য কিছু চাইনি। বাবা - ভাইয়ের জন্য কিছু চাইনি।
সৌমিত্রকে পালটা জবাবে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘যে যার বোধগম্যতা অনুসারে বুঝবে। কে কী বুঝবে তা পরীক্ষা করার অধিকার তো তাঁকে দেওয়া হয়নি। হয়তো মন্ত্রীর লাইনে ছিলেন। পাননি বলে হতাশায় এসব বলছেন। তবে সেটা দলে বলতে পারতেন।’
একই সঙ্গে দলীয় শৃঙ্খলা নিয়ে সৌমিত্র খাঁকে পাঠ পড়িয়েছেন দিলীপবাবু। তিনি বলেন, ‘আমাদের দলে অনেকে এসেছেন যাঁরা পার্টি বোঝেন না, আদর্শ বোঝেন না, শৃঙ্খলা ব্যাপারটাও বোঝেন না। সেগুলো বুঝে কথা বলা উচিৎ। পার্টি কারও লঞ্চিং প্যাড নয়। দলের হাজার হাজার কর্মী, সাংসদ – বিধায়ও স্বপ্ন দেখেন। তবে পূরণ না হলে প্রকাশ্যে কথা বলেন না। এতে নেতার ওজন কমে যায়। তাঁর প্রতি লোকের ধারণা খারাপ হয়। পার্টিতে সমস্ত অভাব অভিযোগ শোনার ব্যবস্থা রয়েছে।’