মুখের কাছে রবারের পাইপ। গোটা মুখ পুরু করে প্লাস্টিক দিয়ে ঢাকা। এই অবস্থায় বিছানার ওপর পড়ে ছিল যুবকের দেহ। পুলিশ এসে দেহটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। কিন্তু এটি খুন নাকি আত্মহত্যা, সে বিষয়ে পুলিশ এখনও নিশ্চিত নয়। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
সল্টলেকের লাবনি আবাসনের একটি ফ্ল্যাটে পেয়িং গেস্ট হিসেবে থাকতেন হায়দরাবাদের বাসিন্দা পি সমৃদ্ধ। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই যুবক একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে অ্যাসিসট্যান্ট ম্যানেজার পদে ছিলেন। বেসরকারি ব্যাঙ্কটির চৌরঙ্গি শাখায় কাজ করতেন তিনি। পুলিশ ওই যুবকের ফেসবুক প্রোফাইল ঘেঁটে এই তথ্য পেয়েছে। সোমবার বিকেলে মৃত যুবকের রুমমেট ও স্থানীয় বাসিন্দারা ঘটনার কথা পুলিশকে জানান।
প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, হিলিয়াম গ্যাস দিয়ে শ্বাসরোধ করে মৃত্যুর পথ বেছে নিয়েছেন ওই যুবক। পুলিশ যখন খবর পেয়ে ফ্ল্যাটে যায়, তখন দেখে, নীল রংয়ের প্লাস্টিকের যে ব্যাগটি দিয়ে মুখ ঢাকা ছিল, সেই ব্যাগেরই একটি অংশ দিয়ে ঢোকানো ছিল রবারের পাইপ। রবারের পাইপের অপর একটি অংশ হিলিয়াম গ্যাসের সিলিন্ডারের সঙ্গে যুক্ত। পুলিশের অনুমান, ওই পাইপ দিয়ে হিলিয়াম গ্যাস ছাড়া হয়েছিল। এর ফলেই দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে যুবকের।
ইতিমধ্যে যুবকের দেহকে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করলে দেহকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, যাদের সঙ্গে যুবক থাকতেন, তাঁরাও ব্যাঙ্ক কর্মী। তাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার দিন তাঁরা কোথায় ছিলেন, এই বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। তবে পুলিশ জানতে পেরেছে, গত কয়েকদিন ধরেই চুপচাপ হয়ে গিয়েছিলেন ওই যুবক।
লেন ওই যুবক।