তৃণমূলের বিরুদ্ধে সিন্ডিকেট ব্যবসায় জড়িত থাকার যে অভিযোগ বিরোধীরা লাগাতার করে থাকে, তা প্রকাশ্য দলীয় সভায় কার্যত মেনে নিলেন দমদমের সাংসদ সৌগত রায়। সঙ্গে দলীয় নেতৃত্বকে পরামর্শ দিলেন, এই সমস্ত সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের ভোটের কাজে ব্যবহার করা উচিত নয়। সৌগতবাবুর এহেন মন্তব্য নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন তৃণমূল নেতারা।
সোমবার দমদমে এক কর্মিসভায় হাজির ছিলেন সৌগতবাবু। ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক ব্রাত্য বসু, ছিলেন পুরপ্রধান হরিন্দর সিং, আর ছিলেন দমদম বিধানসভা এলাকার ২৭১টি পার্টের বুথ এজেন্টরা।
সেখানেই সৌগতবাবু বলেন, ‘ইট-বালির ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের মুখগুলো যেন ভোটের সময় সামনে না আসে। মানুষ এই মুখগুলোকে ভালভাবে নেয় না। ভোটের সময় এদের পিছনের সারিতে রেখে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির লোকেদের সামনে রাখতে হবে। এদের বুথে এজেন্ট না করাই ভাল।’
সৌগতবাবুর পরামর্শ, সিন্ডিকেট ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা দলে থাকতে চাইলে থাকুন। কিন্তু ভোটের সময় তাদের দলীয় কর্মসূচিতে জড়ানোর দরকার নেই। নেহাতই জড়াতে হলে মিটিং-মিছিলে রাখতে হবে পিছনের সারিতে। ভোটের সময় প্রার্থীর আসেপাশে যেন ঘোরাঘুরি না করেন এই সব ব্যক্তিরা।
সৌগতবাবুর মন্তব্য নিয়ে যদিও মুখ খুলতে চাননি বিধায়ক ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, পৃথিবীতে এমন কোনও দল নেই যেখানে গোষ্ঠীদ্বন্দ থাকে না। তবে ভোটের সময় একজোট হয়ে লড়ে জিততে হবে।
সৌগত রায়ের মন্তব্যকে কটাক্ষ করে বিজেপির দাবি, ১০ বছর ধরে সিন্ডিকেটের তাণ্ডবের জেরে পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেকটা মানুষ তৃণমূলের প্রতি বীতশ্রদ্ধ। সেটা টের পেয়ে ভোটের আগে স্বচ্ছ মুখকে সামনে আনার কথা মনে পড়েছে সৌগতবাবুর। কিন্তু মানুষ জানে ভোট মিটলেই ফের দলের নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের হাতে। কারণ সেখান থেকে পার্টি ফান্ডে মোটা টাকা যায়।