বাংলার অহঙ্কার করার যে বিষয়গুলি রয়েছে সেই তালিকায় অবলীলায় ঢুকে গিয়েছে লর্ডসের ব্যালকনি। আর সৌজন্যে অবশ্যই মহারাজ। গড়িয়া নবদুর্গার পুজোয় মণ্ডলপসজ্জায় উঠে এসেছে সেই লর্ডসেরই ব্যালকনি। সেই নকল ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে জামা খুলে ওড়ালেন না সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। জাতীয় পতাকা ওড়ালেন সৌরভ। আর নীচে যে উল্লাসের গর্জন তা যেন মনে করিয়ে দিল সেই ১৩ই জুলাই ২০০২ এর ঐতিহাসিক দিনটাকে।
২০০২ এর ১৩ জুলাই। ইংল্যান্ড বনাম ভারতের ন্যাটওয়েস্ট ট্রফির ফাইনাল। সেবার রূদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের পরে জিতেছিল ভারত। আর বঙ্গসন্তান ব্যালকনিতে উঠে খালি গায়ে উড়িয়েছিলেন সার্ট। আর সেদিনই বিশ্ব ক্রিকেটে মহাকাব্য রচনা করেছিলেন যে বঙ্গসন্তান তিনি আর কেউ নন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
এদিন সন্ধ্যায় গড়িয়া নবদুর্গার ৮২ তম বর্ষের পুজোর উদ্বোধন করলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, বিধায়ক ফিরদৌসি বেগম। দাদাকে দেখে উল্লাসে ফেটে পড়লেন আমজনতা। অনেকেই ঠাকুর দেখার জন্য় এসেছিলেন। ঘুরে ঘুরে দেখছিলেন সেই লর্ডসের ব্যালকনির আদলে তৈরি মণ্ডপের অন্দরসজ্জা। এসব তো আছেই, এর মধ্য়েই এদিনের অন্য়তম আকর্ষণ ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়। ব্যালকনিতে উঠে জাতীয় পতাকা ওড়ালেন তিনি। এরপর অত্যন্ত সযত্নে সেই পতাকাটি পাশে রাখলেন।
মণ্ডপ ছেড়ে বের হওয়ার সময় সকলকে পুজোর শুভেচ্ছা জানালেন তিনি। সৌরভ বললেন, সবাইকে শারদ শুভেচ্ছা জানাই। বাংলার সকলে খুব ভালো করে পুজো কাটান।