আর মাত্র কয়েক মাসের অপেক্ষা। তারপরেই পূজোর ঢাকে কাঠি পড়ে যাবে। পাড়ায় পাড়ায় মন্ডপ। দেবী দুর্গার আবাহন। তবে এবার যারা পূজোয় কলকাতা শহরই থাকছেন তাদের জন্য এবারও বাড়তি পাওনা। মানে যারা পূজোতে দূরে কোথাও বেড়াতে না গিয়ে শহরেই ঘুরুঘুরু করতে চান তাদের জন্য একাধিক সংস্থা পুজো পরিক্রমার আয়োজন করছে। অর্থাৎ তাদের ব্যবস্থাপনাতে আপনি ঘুরে দেখতে পারেন কলকাতার পুজো। সরকারি সংস্থাও অনেক সময় পুজো পরিক্রমার আয়োজন করে। এব্যাপারে এখন থেকে খোঁজখবর না রাখলে পরবর্তী সময় তা বুকিং হয়ে যেতে পারে। কারণ এই পুজো পরিক্রমা যে গাড়িতে করানো হয় তার আসন সংখ্যা সীমিত থাকে। সেকারণে আগে থেকে বুকিং না করলে জায়গা না পেতে পারেন।
এক্ষেত্রে মূলত বনেদি বাড়ির পুজো গুলিকে ঘুরিয়ে দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়। রীতিমত এসি বাসে চাপিয়ে কলকাতা শহরে পুজো দেখার ব্যবস্থা। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে বুকিং শুরু হয়ে গেছে। সরকারি পর্যটন সংস্থা এই পুজো পরিক্রমার ব্যবস্থা করছে কিনা সে ব্যাপারে খোঁজখবর রাখুন এখন থেকেই। না হলে ফসকে যেতে পারে সুযোগ।।উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে বিগত দিনে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থা দোতলা বাসে চাপিয়ে পর্যটকদের পুজোর সময় ঘোরানোর ব্যবস্থা করেছিল।
একাধিক বেসরকারি পর্যটন সংস্থা কলকাতার মধ্যেই মূলত বনেদী বাড়িগুলোতে পুজো কিভাবে হয় তাদের আচার-অনুষ্ঠান ঘুরিয়ে দেখাবে। সংশ্লিষ্ট বাসে অভিজ্ঞ গাইডও থাকবেন।
মূলত যে বনেদি বাড়িগুলোতে এই দুর্গাপূজা দেখানোর ব্যবস্থা করা হয় তার মধ্যে অন্যতম হলো-
শোভাবাজার রাজবাড়ি দূর্গা পুজো,
দর্জিপাড়া মিত্র বাড়ির পুজো
ছাতু বাবু লাটুবাবুর বাড়ি দুর্গাপুজো
রানী রাসমনির বাড়ির দুর্গাপূজা
সাবর্ণ রায় চৌধুরীর বড় বাড়ির পুজো
রায় চৌধুরী বাড়ির পুজো
এছাড়াও একাধিক বনেদি বাড়ির পুজো এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।
ধর্মতলা এয়ারপোর্ট সহ শহরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে পর্যটকদের এই বাসে তোলা হয়। এরপর একে একে বনেদি বাড়ির পুজো গুলি ঘুরিয়ে দেখানো হয় দুপুরে ব্যাংকোয়েট হলে একেবারে জমিয়ে খাওয়া দাওয়া। নানা ধরনের লোভনীয় মেনু থাকে এই খাবারের তালিকায়।
তবে পর্যটন সংস্থার একাংশ একেবারে লিখিতভাবে জানিয়ে দেয়, হাঁটুতে ব্যথা থাকলে এই আপনি এই ট্যুরে অংশ নিতে পারবেন না। কারণ গাড়ি পার্কিং করা থেকে মন্ডপে যাওয়া পর্যন্ত বেশ কিছুটা হাঁটতে হয়।