নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত থেকে ইডির অ্যাস্টিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর মিথিলেশ কুমার মিশ্রকে সরিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। একই সঙ্গে ওই আধিকারিককে পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে কোনও তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তকারী দলের প্রধান হিসাবে অন্য কাউকে দ্রুত নিয়োগ করতে ইডির অধিকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। তদন্তে অগ্রগতির ব্যাপারে ১০ অক্টোবরের মধ্যে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে বলেছেন তিনি।
শুক্রবার প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মিথিলেশ মিশ্রকে ফের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এদিন তদন্তের অগ্রগতিতে অসন্তোষ প্রকাশ করে তিনি নির্দেশ দেন, মিথিলেশ কুমার মিশ্রকে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির EDর তদন্তকারী দলের প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দিতে হবে। তাঁর জায়গায় দ্রুত নিয়োগ করতে হবে অন্য কাউকে। মিথিলেশ কুমার মিশ্রকে পশ্চিমবঙ্গে অন্য কোনও তদন্তে নিয়োগ করা যাবে না।
একই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছে, ৩ অক্টোবর যাতে তদন্তপ্রক্রিয়া যাতে কোনও ভাবেই ব্যহত না হয় সেব্যাপারে পদক্ষেপ করতে হবে ইডির অধিকর্তাকে। নিয়োগ দুর্নীতির টাকার গতিপথ কী তা জানিয়ে ১০ অক্টোবরের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে EDকে।
এদিন EDর তরফে সওয়াল করে বলা হয়, ইডি মোট ১৩১টি মামলার শুনানি করছে। এক জন আধিকারিকের হাতে ২২টি করে মামলা রয়েছে। তারা কেউ কেন্দ্রীয় নিরপত্তা পান না।
বলে রাখি, ইডির কাছে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সিইও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডিরেক্টরদের সম্পত্তির খতিয়ান চেয়েছিল আদালত। সেই তালিকা আদালতে জমা দেয় ইডি। তালিকা পড়ে ইডির তদন্তকারী আধিকারিকদের প্রধান মিথিলেশ মিশ্রকে আদালতে তলব করেন বিচারপতি সিনহা। এর পর তিনি বলেন, ইডির পেশ করা রিপোর্ট অসম্পূর্ণ। সাধারণ তথ্য নেই তাতে। ইডি আধিকারিককে সেদিন প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি সিনহা। শুক্রবার তাঁকে সরিয়েই দিল আদালত।