রাজ্য সরকারের দৌলতে একাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা ট্যাব কেনার টাকা পায়। এই টাকার অঙ্ক ১০ হাজার। এবার তা সরাসরি অ্যাকাউন্টে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হল। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে অনেক কিছু জানা, বোঝা এবং শেখার প্রয়োজন থাকে। সবার বাড়িতে স্মার্ট ফোন, ট্যাব বা কম্পিউটার, ল্যাপটপ নেই। কিন্তু সেটার জন্য যেন শিক্ষায় বাধা না আসে তার জন্য রাজ্য সরকার এমন উদ্যোগ নিয়েছে। এবার সেই ট্যাব কেনার জন্য টাকা দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই শিক্ষা দফতর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, একাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ব্যাঙ্কের যাবতীয় তথ্য দ্রুত জেলা স্কুল পরিদর্শকের (ডিআই) মাধ্যমে পাঠাতে হবে।
কিন্তু এখন এই প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় বিরোধীরা অন্য গন্ধ পাচ্ছেন। তাই তাঁদের এখন অভিযোগ, সামনে লোকসভা নির্বাচন আসছে। তাই কি ট্যাবের টাকা আগাম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? আবার পড়ুয়াদের মতে, এখনই ট্যাবের টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক। কারণ সামনে পরীক্ষা আছে। আগে ট্যাব দিলে অনলাইনে পড়াশোনার প্রস্তুতি নেওয়া যাবে। এখন থেকে ট্যাব পেলে প্রস্তুতি আরও ভাল হবে। প্রত্যেক বছর এই টাকা দ্বাদশের পড়ুয়াদের দুর্গাপুজোর ছুটির আগে বা পরে দেওয়া হয়। দ্বাদশের পড়ুয়াদের ব্যাঙ্কের তথ্য তখনই দেওয়ার কথা বলে থাকে শিক্ষা দফতর। এবার দ্বাদশে ওঠার আগে জানুয়ারি মাসেই ব্যাঙ্কের বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে।
এদিকে করোনাভাইরাসের দাপটে যখন গোটা বিশ্ব কাবু তখন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতিতে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ট্যাবের জন্য ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পের মাধ্যমে ওই টাকা অ্যাকাউন্টে দেওয়া শুরু হয়। তখন অনলাইন ক্লাস হতো। এই ট্যাব বা স্মার্ট ফোন ভরসা ছিল পড়ুয়াদের কাছে। এখন সব ক্লাস অফলাইনে হয়। তারপরও এখন ট্যাবের জন্য টাকা দেওয়া হবে। এটার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা। যদিও এসব নিয়ে গুরুত্ব দিতে চাইছে না পড়ুয়ারা। তাদের এটা প্রয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার আর এক মাস বাকি। তাই এখন ট্যাব পেলে উপকার হবে বলে মনে করছে পড়ুয়ারা।
আরও পড়ুন: সরকারি হাসপাতালে বেসরকারি পথে নার্সিং ট্রেনিং, বিজ্ঞপ্তি জারি করল স্বাস্থ্য দফতর
অন্যদিকে কিছু স্কুলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, অনেক পরীক্ষার্থী এবার পরীক্ষা দেবে না। অথচ তারা ট্যাব কেনার টাকা পেয়ে যাবে। যদিও এমনটা হবে না বলেই মত শিক্ষা দফতরের। কারণ নতুন করে ব্যাঙ্কের নথি জমা দিলে তবেই মিলবে টাকা। তাছাড়া সেই নথি হাতে পেলে ভেরিফিকেশন হবে স্কুলের মাধ্যমেই। তাতেই দুধ কা দুধ আর পানি কা পানি হয়ে যাবে। তবে এই কাজ করে টাকা পেতে সময় লাগবে। তাই দ্রুত ব্যাঙ্কের নথি জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রত্যেকবারই এই টাকা পড়ুয়াদের দেওয়া হয়। তাই এসব নিয়ে রাজনীতি হোক চায় না শিক্ষা দফতর।