কয়লাকাণ্ডে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কলেজের বন্ধুদের কাছেও সিবিআই, ইডি পৌঁছে যাচ্ছে বলে শুক্রবারই অভিযোগ তুলেছিলেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়। এদিকে শনিবার দেখা গেল কয়লাকাণ্ডের তদন্তে একেবারে জোর তৎপর হয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট(ইডি)। শনিবার সকালে আচমকাই কলকাতার মল্লিক বাজার ও ডালহৌসির দুটি অফিসে হানা দেন সংস্থার আধিকারিকরা। এই ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়।
সূত্রের খবর দিল্লি থেকে আসা আধিকারিকরাও ওই টিমে রয়েছেন। ওই অফিস দুটির মধ্যে একটি স্টিল কোম্পানির ও অপরটি পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। তদন্তকারী আধিকারিকরা ওই অফিসের কর্মীদের বেরতে নিষেধ করেন। সংস্থার ডিরেক্টরদেরও জেরা করা হতে পারে। সূত্রের খবর, ইডির তিনটি দল শহরের একাধিক অফিসে তল্লাশি চালাচ্ছেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে কেন এই দুটি অফিসকে এবার সন্দেহের তালিকায় ফেললেন ইডির আধিকারিকরা?
সূত্রের খবর, এই দুই সংস্থার সঙ্গে কয়লা পাচারের যোগ ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। এই দুই সংস্থার মাধ্যমে কয়লা পাচারের বিপুল টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে চলে যেত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তবে এই সংস্থার অফিসের হিসাবপত্র, পুরানো অ্যাকাউন্ট এগুলি যাচাই করতে পারেন ইডি কর্তারা। কয়লাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত কেউ এই অফিসে যাতায়াত করতেন কি না সেটাও নিশ্চিত হতে চাইছেন তদন্তকারীরা।