সরকারি হাসপাতালে রেফার রোগ একটি বড় সমস্যা। এনিয়ে অভিযোগ রয়েছে ভুড়ি ভুড়ি। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর এ নিয়ে অতিষ্ঠ। এর আগে বহুবার রেফার রোগ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আধিকারিকদের সঙ্গে একাধিবার বৈঠকও করেছেন। তা সত্ত্বেও রেফার রোগ সারছে না। অভিযোগ বাড়ছে প্রতিনিয়ত। এই সমস্যার সমাধানে রেফার অডিটও শুরু করা হয়েছে। তারপরেও কমেনি রেসার রোগ। মঙ্গলবার এসএসকেএম হাসপাতালে একটি অনুষ্ঠানে রেফার রোগ নিয়ে আক্ষেপ করেন রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্তারা।
এদিন এসএসকেএমে অ্যানেক্স কলকাতা পুলিশ হাসপাতালে স্ট্রোকের বহির্বিভাগ এবং রিউম্যাটোলজির দিবা বিভাগ চালু হয়। এর জন্য একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে স্বাস্থ্যকর্তাদের মন্তব্যে রেফার রোগের প্রসঙ্গ উঠে আসে। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম, স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্য সহ হাসপাতালের অন্যান্য আধিকারিকরা। প্রসঙ্গত, রেফার রোগ কমাতে জেলায় জেলায় তৈরি হয়েছে মেডিক্যাল কলেজ। তা সত্ত্বেও রেফার রোগ না কমায় আক্ষেপ করেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী। এদিন তিনি বলেন, ‘জেলার মেডিক্যাল কলেজের জরুরী বিভাগ থেকে স্ট্রোকের রোগী রেফার করা হয়। এমনকী আরজিকর হাসপাতাল থেকেও এমন রোগী এসএসকেম হাসপাতালে রেফার করা হয়।’ এসএসকেএম হাসপাতালে প্রতিনিয়ত যেভাবে রোগীদের চাপ বাড়ছে তাতে চিন্তিত স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। জেলায় জেলায় মেডিক্যাল কলেজ থাকা সত্ত্বেও কেন রোগীদের রেফার করা হচ্ছে? তাই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। সব হাসপাতালের স্ট্রোক ব্যবস্থাপনা যাতে ঠিকমতো হয় সে বিষয়টিতে নজর রাখতে বলেছেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা।
প্রসঙ্গত, স্ট্রোকের চিকিৎসার জন্য পিজির বাঙুর ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসায়েন্সকে হাব করা হয়েছে। জেলার হাসপাতালগুলিকে শাখা কেন্দ্র করে চিকিৎসা চলছে। তারপরেও বাঙুর ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসাইন্সে প্রতিনিয়ত স্ট্রোকের রোগীদের চাপ বাড়ছে। এনিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের আরও নজরদারি প্রয়োজন বলে মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।এদিনের অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ধরনের নতুন পরিষেবা চালু করার কথাও বলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘এসএসকে হাসপাতালে মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন হাব তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে।’