খাস কলকাতায় অতিরিক্ত বায়ুদূষণকে কেন্দ্র করে বিষয়টিকে বিশেষভাবে খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। মাঝেরহাট ব্রিজে নিজেই এবার লরি ধরলেন মেয়র। রাবিশ নিয়ে ওই লরিটি যাচ্ছিল পুকুর ভরাটের করার জন্য। রাবিশ দেখে বিরক্তি প্রকাশ করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। জোকায় ১৬ নম্বর বরোয় বৈঠক করতে যাচ্ছিলেন মেয়র। তখনই ওই পথে বিষয়টি দেখতে পান মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি লরিটিকে বমাল ধরে ফেলেন।
আজ, সোমবার এই ঘটনার পর পুলিশ প্রশাসনের উপরও ক্ষোভ উগরে দিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। কর্তব্যরত এক পুলিশ কর্মীকে ওখানে দাঁড়িয়েই প্রশ্ন করেন, ‘কীভাবে পুলিশের নজর এড়িয়ে গেল এই লরি? যেখানে আমি নিজেই খালি চোখে দেখে বুঝতে পারছি, এই মাটি অবৈধভাবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানে পুলিশ বুঝল না?’ এরপর পুলিশ কমিশনার বিনীতকুমার গোয়েলকে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। নিজেই দাঁড়িয়ে ট্রাফিক পুলিশকে ব্যাবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দেন মেয়র। এই ঘটনা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
এদিকে বেআইনি রাবিশ ভরা গাড়িকে বাজেয়াপ্ত করে কলকাতা পুলিশ। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। একা কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। পুকুর ভরাট নিয়ে বারবার চিঠি দিয়ে লাভ হচ্ছে না বলে অভিযোগ মেয়রের। পুলিশ কমিশনারকে আবার ব্যবস্থা গ্রহণ করার আবেদন করেন মেয়র তথা পুরমন্ত্রী। মেয়রের বক্তব্য, ‘মাঝেরহাট ব্রিজের উপর আমি একটা লরি দেখলাম এবং আটকালাম। রাবিশ নিয়ে যাচ্ছিল। সাউথের দিকে ঢুকছিল লরিটি। তারপর আরও পাঁচটা গাড়ি দেখলাম সাউথের দিকে যাচ্ছে। নম্বরগুলি লিখে রেখেছি। এই তথ্যগুলি আমি পুলিশ কমিশনারকে দেবো।’
আরও পড়ুন: তিনদিনে ২০০ টোটো আটক করল পুলিশ, হাওড়ায় এমন ঘটনার নেপথ্য কারণ কী?
অন্যদিকে মেয়র ক্ষুব্ধ হওয়ায় পুলিশের শীর্ষস্তরেও খবর পৌঁছে যায়। বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। এই বিষয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘এভাবে আমাদের একা যদি পরিবেশের জন্য লড়াই করতে হয়, তাহলে সেটা কেমন করে সম্ভব? আমি পুলিশ কমিশনারের কাছে অনুরোধ করব, মাঝেরহাট ব্রিজ থেকে সাউথের রাস্তায় নজরদারি আরও বাড়াতে। এখানে জলাশয় বোজানোর যে পুরনো রোগ সেটা পুলিশ ছাড়া কেউ আটকাতে পারবে না। আমরা সি&ডি প্ল্যান্ট বসিয়েছি। যদি কেউ বাড়ি ভাঙে রাবিশ প্ল্যান্টে যাবে। তা না হয়ে পাচার হচ্ছে।’