ফের কলকাতায় আবাসনের ক্ষেত্রে নতুন করে জোয়ার আসতে শুরু করেছে। তবে তার সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ফ্ল্যাটের দাম। কার্যত ফ্ল্যাটের দাম একেবারে হু হু করে বাড়ছে। আর এই ফ্ল্যাটের দাম বৃদ্ধির একটা বড় কারণ হল নির্মাণ সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি। নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় ফ্ল্যাট তৈরির করার খরচ বাড়ছে।আর সেই বাড়তি খরচটাই ফ্ল্যাটের উপর চাপিয়ে দিচ্ছেন প্রমোটাররা।
কলকাতার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন শহরে ফ্ল্য়াটের দাম ক্রমশ চড়ছে। তবে করোনা পরিস্থিতির পর থেকে পশ্চিমবঙ্গে স্ট্যাম্প ডিউটিতে বড় ছাড় দেওয়া হয়েছে। এর জেরে ফ্ল্যাট কেনার প্রতি বাসিন্দাদের চাহিদা ক্রমশ বাড়তে থাকে। এনিয়ে ২০২০সালের অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত হিসেবকে ধরে সমীক্ষা চালানো হয়েছে।
উপদেষ্টা সংস্থা অ্যানারকের হিসাব অনুসারে কলকাতা সহ দেশের অন্তত সাতটি শহরে ফ্ল্যাটের দাম ১৩ থেকে ৩৩ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে শুধু কলকাতায় নয়, হায়দরাবাদেও ফ্ল্যাটের দাম বেশ বেড়েছে। হায়দরাবাদের কোন্দাপুরে ফ্ল্যাটের দাম ৩১ শতাংশ, বেঙ্গালুরুরু হোয়াইট ফিল্ডে ২৯ শতাংশ, চেন্নাইয়ের পেরুমবক্কমে ১৯ শতাংশ বৃদ্ধি ফ্ল্যাটের দামে। মুম্বই মেট্রোপলিটন রিজিয়নের লোয়ার প্যারোলে ২১ শতাংশ বেড়েছে ফ্ল্যাটের দাম। দিল্লি সহ রাজধানী সংলগ্ন এলাকা ও গ্রেটার নয়ডায় ২৭ শতাংশ ও দ্বারকা এক্সপ্রেসওয়েতে ২০ শতাংশ ও পুনের ওয়াথলিতে ২৫ শতাংশ দাম বেড়েছে ফ্ল্যাটের।
কলকাতার তিনটি এলাকাতে ফ্ল্যাটের দাম সমীক্ষার ফলাফলে উঠে এসেছে। জোকা, রাজারহাট ও ইএমবাইপাসে ফ্ল্যাটের দাম ক্রমশ চড়ছে। সম্প্রতি জোকায় ফ্ল্যাটের প্রতি বর্গফুট দাম ৪২৭৫ টাকা করে। ই এম বাইপাস এলাকায় ফ্ল্যাটের দাম প্রতি স্কোয়ারফুটে ৭৭১০টাকা ও রাজারহাটে সেটাই হয়েছে ৫২০০ টাকা। জোকায় ২৪ শতাংশ হারে দাম বেড়েছে।রাজারহাটে ১৯ ও বাইপাসে ১৩ শতাংশ হারে ফ্ল্যাটের দাম বেড়েছে।
এদিকে গোটা শহর জুড়ে মেট্রোর নতুন করে শাখা বিস্তার হচ্ছে। সেই সঙ্গে জোকা থেকে এয়ারপোর্ট সর্বত্র ফ্ল্যাটের দাম চড়ছে। সকলেই দেখছেন মেট্রো স্টেশন থেকে জায়গাটা কতদূর সেটাও দেখা হচ্ছে।