কয়েকদিন আগে কলকাতা পুরসভার সদর দফতরে একটি ৬ ফুট লম্বা সাপ মারার অভিযোগ উঠেছিল কর্মীদের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই তদন্ত শুরু করে দিয়েছে বন দফতর। এই অভিযোগের সত্যতা খুঁজে বের করার জন্য পুরসভার সদর দফতরে পুরকমিশনার ধবল জৈনের সঙ্গে দেখা করেন বন বিভাগের আধিকারিকরা। এবিষয়ে পুরসভার কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে বন বিভাগ। রিপোর্ট পাওয়ার পর বন বিভাগের তরফে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ কলকাতা পুরসভায় ধরা পড়ল দাঁড়াশ সাপ, বন দফতরকে না জানিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ
ঘটনাটি ঘটেছিল গত সোমবার। পুরসভার সদর দফতরের ট্রেজ়ারি বিভাগে ৬ ফুট লম্বা একটি সাপকে দেখে প্রবল আতঙ্ক ছড়ায় কর্মীদের মধ্যে। আসলে সেটি ছিল একটি দাঁড়াশ সাপ। পরে কেয়ারটেকারের কর্মীরা সাপটি মেরে ফেলেন। এমন অভিযোগ ওঠার পরে তদন্তে নামে বনবিভাগ। মঙ্গলবার বন বিভাগের চারজন আধিকারিক পুরকমিশনারের সঙ্গে দেখা করেন। এ বিষয়ে বন দফতরের উপ বনপাল (বন্যপ্রাণ) কল্যাণ রাই জানান, পুরসভার ভেতরে দাঁড়াশ সাপ মারার ঘটনার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। পুরসভার কাছে এ বিষয়ে রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলেই তার ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।
জানা গিয়েছে, পুরকমিশনারের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি পুরসভার আরও বেশ কয়েকজন অয়াধিকারিকের সঙ্গে কথা বলেন বনবিভাগের তদন্তকারী দলের আধিকারিকরা। এ বিষয়ে বনবিভাগের তরফে পুরসভার কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়। দ্রুত সেই রিপোর্ট দেওয়া হবে বলে পুরকমিশনার আশ্বস্ত করেছেন। প্রসঙ্গত, পুরসভার ভিতরে সাপ মরার কথা স্বীকার করেছেন অনেক কর্মী। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, সাপটিকে মারার পরে একটি জুতোর বাক্সে ভরে ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া হয়। পরে সাফাই কর্মীরা আবর্জনা পরিষ্কার করতে গিয়ে সাপটিকে দেখেন। অনেকের বক্তব্য, এক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী সাপ দেখা গেলে সে ক্ষেত্রে বন বিভাগকে খবর দিতে হয়। কিন্তু পুরসভার তরফে বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ না করে সাপটিকে মেরে ফেলা হয়। এ প্রসঙ্গে বন বিভাগের বক্তব্য, একমাত্র আত্মরক্ষার্থে এই ধরনের সাপকে মারা যেতে পারে। কিন্তু, অকারণে মারলে সেটি অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।