কলকাতার থিয়েটার রোড এলাকার একটি বহুতলে ৯১ বছরের বৃদ্ধা রেনুকা চৌধুরীর মৃতদেহ মিলেছিল সোমবার রাতে। তবে মৃত্যুটি স্বাভাবিক মনে না করায় তদন্তের ভআর নিয়েছিল হোমিসাইড শাখা। আর তদন্তে নামার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রহস্যের জাল কেটে সাফল্য গোয়েন্দাদের। বৃদ্ধা খুনে বাড়ির প্রাক্তন গাড়ি চালককে ডানকুনি থেকে গ্রেফতার করলেন কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখার গোয়েন্দারা। তদন্তকারীদের অনুমান বৃদ্ধাকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়।
মৃতদেহের ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী সোমবার রাত ১২টা নাগাদ রেনুকাদেবীকে হত্যা করা হয়। সেই সূত্র ধরে তদন্তে নেমে প্রথমেই গোয়েন্দারা বহুতলের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেন। দেখা যায়, রেনুকাদেবীর ফ্ল্যাট থেকে খুনের সম্ভাব্য সময়ের কাছাকাছি সময়ে একজন বের হচ্ছে। সেই ব্যক্তিকে শনাক্ত করতেমৃতার ছেলেকে ওই সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ দেখানো হয়। তিনিই ওই ব্যক্তিকে শনাক্ত করে জানান, যে ফুটেজের সেই ব্যক্তি তাঁদের পুরনো গাড়ির চালক। কয়েকবছর আগে টাকা পয়সা চুরির অভিযোগে ওই গাড়ি চালককে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিল চৌধুরী পরিবার।
মৃতার ছেলে জানান, কাজ হারানোর পরও একাধিকবার ওই বৃদ্ধার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল ওই গাড়ি চালক। অভয়ের বয়ানের ভিত্তিতেই গাড়ি চালককে গ্রেফতার করা হয়। বৃদ্ধাকে খুন করার পাশাপাশি ঘর থেকে একটি সোনার চেন, দুটি মোবাইল, একটি হাতের সোনার বালা-সহ একাধিক সামগ্রী খোয়া গিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছিল।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে বৃদ্ধা খুনের ঘটনাটি প্রকাশ্যে এসেছিল। ২৮বি থিয়েটার রোডের একটি বহুতলে থাকতেন অভয় চৌধুরী ও তাঁ মা রেনুকাদেবী। অভয় মঙ্গলবার বহুতলের নিচে ব্যাডমিন্টন খেলে ঘরে গেলে মায়ের মৃতদেহ দেখেন প্রথমবার। লুটিয়ে পড়ে থাকা রেনুকাদেবীর নাকে সামান্য রক্ত ছিল। অভয় চৌধুরী খবর দেন স্থানীয় শেক্সপিয়র সরণি থানায়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে দেহটি নিয়ে যায়। এরপরই দফায় দফায় ছেলে অভয় চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলে খুনের কিনারা করার চেষ্টা করেন লালবাজারের গোয়েন্দারা।