বকেয়া ফি নিয়ে অভিভাবক এবং বিড়লা গোষ্ঠীর তিন স্কুলের মধ্যে রেষারেষি অব্যাহত। এই আবহে এবার বেনজির ভাবে পড়ুয়াদের রিপোর্ট কার্ডে ফি মেটানোর অনুরোধ জানাল জিডি বিড়লা সেন্টার ফর এডুকেশন, অশোক হল এবং মহাদেবী বিড়লা শিশু বিহার। এর আগে বকেয়া ফি নিয়ে বিক্ষোভের মুখে তিন স্কুলের দরজা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করেছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। তবে তারপর স্কুল খুললেও শুধুমাত্র পুরো বেতন মেটানো পড়ুয়াদেরই ঢোকার অনুমতি দেওয়া হচ্ছিল। তবে সেই সব বিতর্কের মাঝে এবার সব পড়ুয়াকেই স্কুলে ক্লাস করার অনুমতি দিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। তবে এরই মাঝে তৈরি হল নয়া বিতর্ক।
বিড়লা গোষ্ঠীর তিন স্কুলের অনের পড়ুয়ার অভিভাবকদের অভিযোগ, ছেলেমেয়েদের রিপোর্ট কার্ড দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। তবে সেখানে বকেয়া ফি মিটানোর কথা উল্লেখ করে বার্তা দেওয়া হয়েছে। এই আবহে অভিভাবকদের প্রশ্ন, এভাবে স্কুলের রিপোর্ট কার্ডে ফি সংক্রান্ত কোনও উল্লেখ করা যায় কি না। অভিভাবকদের বক্তব্য, আদালতের নির্দেশ মেনে তাঁরা স্কুলের ফি মিটিয়ে দিয়েছেন। তারপরও কেন রিপোর্ট কার্ডে এই লেখা লিখল স্কুল কর্তৃপক্ষ?
উল্লেখ্য এর আগে ফি সংক্রান্ত বিতর্কের মাঝেই ‘অনির্দিষ্টকালের’ জন্য স্কুল বন্ধ করে দিয়েছিল বিড়লা গোষ্ঠী। এরপর গত ১১ এপ্রিল ফের খোলে তিন স্কুল। তবে স্কল খুলতেই নয়া বিতর্কে জড়ায় স্কুলগুলি। পড়ুয়াদের মধ্যে ভেদাভেদ এবং বৈষম্যের অভিযোগ ওঠে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। জানা যায়, যে পড়ুয়াদের অভিভাবক পুরো ফি জমা দিয়েছেন, সেই পড়ুয়াদের হলুদ রঙের আইডি দেওয়া হয়। এবং শুধু বেতন মেটানো পড়ুয়াদেরই সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ ওঠে। এর আগে পড়ুয়াদের নিরাপত্তা এবং আইনশৃঙ্খলার কারণ দেখিয়ে কলকাতার নামী তিন স্কুল তাদের দরজা বন্ধ করে অনির্দিষ্টকালের জন্য। ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে স্কুলের গেটের বাইরে অভিভাবকদের বিক্ষোভের জেরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ।