কলকাতা পুরসভার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে অতি সাধারণ রোগের ওষুধ মিলছে না। যার ফলে সাধারণ মানুষকে বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ উঠতেই পুরসভার বোরো কমিটিতে বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তারপরেও কোনও সুরাহা মেলেনি। অভিযোগ, ডায়রিয়া, অম্বল, মাথা ঘোরা, সুগার, চুলকানি প্রভৃতি সাধারণ রোগের ওষুধ আর আগের মতো পাওয়া যাচ্ছে না কলকাতা পুরসভা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। এনিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধীরা।
চলতি সপ্তাহে ১৪ নম্বর বরোর বৈঠকে ১২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রূপক গঙ্গোপাধ্যায় এসব নিয়ে অভিযোগ করেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, প্রেসার, থাইরয়েড, ইউরিক অ্যাসিডের মতো সাধারণ রোগের ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। তার ভিত্তিতে কাউন্সিলের অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বোরোর এক্সিকিউটিভ হেলথ অফিসারের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওই বোরোর চেয়ারপার্সন সংহিতা দাস। অন্যদিকে, প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে ওষুধের পরিমাণ আগের থেকে কমেছে বলে জানিয়েছেন ১৫ নম্বর বোরোর চেয়ারম্যান রণজিৎ শীল। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে তিনি জানিয়েছেন বলে জানান।
এর পাশাপাশি অন্যান্য ওয়ার্ডের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতেও একই অবস্থা। এ নিয়ে কটাক্ষ করেন ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ। তিনি বলেন, আগে মাথা ঘোরা, অম্বল, চুলকানি, ডায়রিয়া সুগার প্রভৃতি সাধারণ রোগের ওষুধ পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে পাওয়া যেত। এখন পাওয়া যাচ্ছে না। ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর সন্তোষ পাঠকও একই অভিযোগ করেছেন। এরফলে সাধারণ মানুষকে হয়রানি হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ।
পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসকরাও স্বীকার করেছেন যে ওষুধের সরবরাহ আগের মতো নেই। সুগার, প্রেসারের মতো ওষুধ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাছাড়া জ্বর, ইনসুলিন এই সব রোগের ওষুধও আগের মতো আসছে না। এ বিষয়ে পুরসভার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুব্রত রায় চৌধুরী বলেন, রাজ্য সরকারের সিস্টেমে যেসব রয়েছে সেই ওষুধগুলিই দেওয়া হচ্ছে। রাজ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধান্ত নিয়োগী বলেন, পুরসভার প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বেশি দামী ওষুধ আর দেওয়া হবে না। ওষুধের যোগান স্বাভাবিক হতে মাস দেড়েক মত সময় লাগবে।