ফের রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত প্রকাশ্যে। এবার নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগকে কেন্দ্র করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তবর্তী উপাচার্য হিসাবে শনিবার ওই বিশ্ববিদ্যালয়েরই ইতিহাসের অধ্যাপক চন্দন বসুকে নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। অভিযোগ, তা করা হয়েছে শিক্ষা দফতরকে না জানিয়েই। এই নিয়োগ নিয়ো ক্ষোভ প্রকাশ করেছে শিক্ষা দফতর।
দিন কয়েক আগে পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে যান রাজ্যপাল। সেখানে তিনি ডেকে পাঠান নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রতিনিধিদের। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। উপাচার্যহীন অবস্থায় থাকায় কী কী সমস্যা হচ্ছে তা জানতে চান। রাজ্যপাল শিক্ষক প্রতিনিধিদের বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়েরই কোনও প্রবীণ অধ্যাপক অন্তবর্তী উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব নেবেন। শনিবার অধ্যাপক চন্দন বসুর নাম অন্তবর্তী উপাচার্য হিসাবে জানানো হয় রাজভবন থেকে।
শিক্ষাদফতর সূত্রে খবর, তাদের অন্ধকারে রেখে এই নিয়োগ করা হয়েছে। নিয়োগের আগে কোনও রকম আলোচনা করা হয়নি। পূর্বতন অস্থায়ী উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তীর মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর অস্থায়ী উপাচার্য হিসাবে নতুন নাম পাঠানো হয়েছিল শিক্ষা দফতরের তরফে। কিন্তু রাজভবনে তরফে সেই প্রস্তাবে কোনও সাড়া দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছ শিক্ষা দফতর।
দায়িত্ব নেওয়ার পর অস্থায়ী উপাচার্য চন্দন বসু টিভি নাইন বাংলাকে বলেন,'আচার্য দায়িত্ব দিয়েছেন, আমি তা পালন করছি। ৩৩ টি কোর্সের অনুমতি দেওয়া এখন আমার মুখ্য কাজ। জটিল প্রক্রিয়া। কিছু অনুমোদন হয়েছে। পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের জন্য যা করণীয় তাই করব।'
এই সপ্তাহেই রাজ্যপাল একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে যান পরিদর্শনে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে একই দিন দু'বার যান। শিক্ষা দফতরকে না জানিয়ে তাঁর এই পরিদর্শনে ক্ষুব্ধ হন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি রাজ্যপালকে 'মত্ত শ্বেত হস্তী'-ও বলেন। তাতে যে রাজ্যপাল বোসকে 'শান্ত' করা যায়নি তা শনিবারের নিয়োগ থেকে স্পষ্ট।