রাজভবনে এবং রাজ্যপালের উপর নজরদারি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। আর এই অভিযোগের উপর ভিত্তি করে তিনজন পুলিশ কর্মীকে সরিয়ে দেওয়ার সুপারিশ করা হল রাজভবনে কর্তব্যরত ওসি’র কাছে। শুধু তাই নয়, রাজভবনে কারা যাতায়াত করছে তাঁদের উপরও নজরদারি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। অর্থাৎ গোটা রাজভবন এবং রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের উপর নজরদারি করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। আর তাই এই সরিয়ে দেওয়ার সুপারিশ বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু তিনজন পুলিশ কর্মী গোটা রাজভবন এবং রাজ্যপালের উপর নজরদারি রাখবেন কী করে? এটা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
এদিকে রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করে চলেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। একতরফা নীতি নিয়ে চলছেন তিনি বলে অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা–মন্ত্রীদের। এই নিয়ে রাজ্যপাল বনাম শিক্ষামন্ত্রীর সংঘাত আজও অব্যাহত। একজন অপরজনকে বলছেন জুনিয়র অ্যাপয়ন্টি তো অপরজন বলছেন রক্তচোষা ভ্যাম্পায়ার। এই পরিস্থিতির মধ্যে নজরদারির অভিযোগ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। তবে রাজ্যপাল নিজে এই বিষয়ে এখনও মুখ খোলেননি। এমনকী পুলিশ মৌখিক সুপারিশ পেলেও লিখিত কোনও অর্ডার পায়নি। তাই রাতে এই বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা হয়নি।
অন্যদিকে ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী তৃণমূল কংগ্রেসের তফসিলি বিধায়কের শপথ নিয়ে এখন জটিলতা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যেই পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের লিখিত চিঠির উত্তর দু’লাইনে দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শপথ নিয়ে যখন টানাপোড়েন চলছে, তখন রাজভবনে নজরদারির অভিযোগ উঠল। সূত্রের খবর, রাজভবনের অফিসে ঠিক কী কাজকর্ম হচ্ছে? কারা এখানে আসছেন? এসবের উপর নজরদারি চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, ট্যাপ করা হচ্ছে রাজ্যপালের টেলিফোন বলেও অভিযোগ। তবে তিন পুলিশ কর্মীকে সরিয়ে দেওয়ার কোনও চিঠি এখন পর্যন্ত পুলিশের কাছে আসেনি।
আরও পড়ুন: ‘মণিপুরে ছাত্রদের উপর হামলা মেনে নেওয়া যায় না’, কড়া ভাষায় টুইট মমতার
তৃণমূল ঠিক কী বলছে? রাজভবন এবং রাজ্যপালের উপর নজরদারি করার অভিযোগ উঠতেই পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের সহ–সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘কে এউ অভিযোগ করেছেন, সেটা জানা প্রয়োজন। রাজভবন তো গোপন কোনও সংগঠন নয়। বাইরের দেশও নয়। অন্য় দেশের দূতাবাস এমনও তো নয়। রাজভবন রাজ্যপালের থাকার জায়গা। গোপন কাজকর্ম নেই যে, নজরদারির প্রশ্ন উঠবে। সেরকম কি কিছু করছিলেন? যাঁদের সঙ্গে দেখা হওয়ার কথা নয়, এমন লোকজনের সঙ্গে দেখা করছিলেন কি? আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, আগে আমি দেখেছিলাম, শুভেন্দু অধিকারী রাজভবনে গিয়ে ইডি–সিবিআই অফিসারদের সঙ্গে পরামর্শ করতেন। তাঁদের কাছ থেকে তদন্তের গতিপ্রকৃতি জানতেন। এখনও কি সেরকম কাজ চলছে?’