বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > ‘‌মুখ্যমন্ত্রীকে আমি নতুন করে টেনশন দিতে চাই না’‌, রাজভবনে বসে মন্তব্য রাজ্যপালের

‘‌মুখ্যমন্ত্রীকে আমি নতুন করে টেনশন দিতে চাই না’‌, রাজভবনে বসে মন্তব্য রাজ্যপালের

রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস

কয়েকদিন ধরে রাজ্যপাল বনাম শিক্ষামন্ত্রীর মধ্যে জোর লড়াই চলছিল। তাতে রাজ্যপাল একক সিদ্ধান্ত নিচ্ছিলেন। আর রাজ্যপালকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ভ্যাম্পায়ার বা রক্তচোষা থেকে শুরু করে মহম্মদ বিন তুঘলক মন্তব্যে চটেছিলেন রাজ্যপাল। তাতে মাঝরাতে দুটি চিঠি পাঠান তিনি। 

রাজভবন–রাজ্য সরকার সংঘাত এখন চরমে উঠেছে। সেটা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের হুমকি এবং মাঝরাতে চিঠি পাঠানো সেই সাক্ষ্য বহন করছে। তিনি নিজেই অ্যাকশন নেবেন বলে হুঙ্কার ছেড়েছিলেন। তাতে সরগরম হয়ে ওঠে রাজ্য–রাজনীতি। এই পরিস্থিতিতে এবার সংঘাতে যেতে চান না রাজ্যপাল। এমনকী মুখ্যমন্ত্রীকে কোনও টেনশন দিতে চান না বলে মন্তব্য করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যপালের জোড়া গোপন চিঠি ঘিরে তৈরি হয়েছে রহস্য। রাজ্যপালের জোড়া কনফিডেন্সিয়াল চিঠির বিষয়বস্তু কী? কী রয়েছে নবান্ন ও দিল্লিতে পাঠানো চিঠিতে? আজ, সোমবার এই বিষয়ে মুখ খুললেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

এদিকে কয়েকদিন ধরে রাজ্যপাল বনাম শিক্ষামন্ত্রীর মধ্যে জোর লড়াই চলছিল। তাতে রাজ্যপাল একক সিদ্ধান্ত নিচ্ছিলেন। আর রাজ্যপালকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ভ্যাম্পায়ার বা রক্তচোষা থেকে শুরু করে মহম্মদ বিন তুঘলক মন্তব্যে চটেছিলেন রাজ্যপাল। তাতে মাঝরাতে দুটি চিঠি পাঠান তিনি। একটি কেন্দ্র ও অন্যটি রাজ্য সরকারকে। এই বিষয়ে আজ জানতে চাওয়া হলে রাজভবনে বসে আনন্দ বোস বলেন, ‘‌আমি প্রেরক। আর যিনি পেয়েছেন তিনি গ্রহীতা। তাই যা বলার গ্রহীতাই বলবেন। আমি শুধু কিছু বিষয় জানিয়েছি মাত্র।’‌

অন্যদিকে উপাচার্য নিয়োগ করার বিষয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস রাজ্যের শিক্ষা দফতরকে অন্ধকারে রেখে কাজ করছিলেন বলে অভিযোগ। এই নিয়ে সংঘাত চরমে উঠেছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্টভাবে বলেছিলেন, রাজভবনের কথায় চললে আর্থিক সাহায্য বন্ধ করবে রাজ্য সরকার। ধরনায় বসবেন তিনি নিজে। এবার এই চিঠি নিয়ে এবং ব্রাত্য বসু সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে রাজ্যপালের কথায়, ‘‌যা আলোচনা করার তা আমার সাংবিধানিক সহকর্মী মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেই করব। কোনও জুনিয়র অ্যাপয়েন্টির সঙ্গে নয়।’‌ সুতরাং তিনি বুঝিয়ে দিলেন ব্রাত্য বসু রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী হলেও তাঁর জুনিয়র।

আরও পড়ুন:‌ মোট ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক তৃণমূলের, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অ্যাকশন

আর কী বলেছেন রাজ্যপাল?‌ ইতিমধ্যেই ব্রাত্য বসুর নামে নালিশ ঠুকেছেন রাজ্যপাল বলে সূত্রের খবর। কেন্দ্র এবং রাজ্য—দুই সরকারকে লিখিত চিঠিতে তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন। এই বিবাদ নিয়ে এবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেন, ‘‌আমার সাংবিধানিক সহকর্মী মুখ্যমন্ত্রী এখন বিদেশ যাচ্ছেন। তাই তাঁকে আমি নতুন করে কোনও টেনশন দিতে চাই না। আর আমার জুনিয়র অ্যাপয়ন্টির বক্তব্যের কোনও উত্তর দেব না। এটা উপযুক্ত সময় নয় আলোচনা করার জন্য। কোনও লাগেজ তার বাড়ুক সেটা চাই না। আমি খুব খুশি এখানে কাজ করে। আমার কাছে ৮টি ফাইল পাঠানো হয়েছে। তার মধ্যে ৭টি ফাইল নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছি। তার জবাব এখনও নবান্ন দেয়নি। ফলে বিষয়গুলি আসলে নবান্নে আটকে রয়েছে। এছাড়া একটি বিল পড়ে রয়েছে আমার কাছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর সেই বিলের আর প্রাসঙ্গিকতা নেই। মুখ্যমন্ত্রী ফিরলে কথা হবে।’‌

বন্ধ করুন