আজ, বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের বাসভবনে যাচ্ছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বিশেষ ইস্যু নিয়ে তিনি বিচারপতির বাড়ি যাচ্ছেন বলে সূত্রের খবর। সদ্য নিজের প্রধান সচিবকে সরিয়েছেন। তারপরই তিনটি উপদেষ্টা কমিটি নিয়োগ করতে চলেছেন তিনি। এমন অবস্থায় বুধবার বিকেলে বড়লাটের হঠাৎ প্রধান বিচারপতির বাড়ি যাওয়া বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
এদিকে রাজভবন সূত্রে খবর, আজ বিকেল ৫টা ১৫ মিনিট নাগাদ রাজভবন থেকে রওনা দিতে পারেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে রাজ্যপালের সাক্ষাৎ নিয়ে রাজ্য–রাজনীতিতে জোর চর্চা হতে শুরু করেছে। কারণ রাজ্যের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক বাতাবরণ হঠাৎ পাল্টে গিয়েছে। তা নিয়ে নবান্ন–রাজভবন দূরত্ব বাড়তে শুরু করেছে। এই অবস্থায় এমন দুই শীর্ষ পদাধিকারীর বৈঠক ভাবিয়ে তুলেছে সকলকে।
অন্যদিকে কয়েকদিন আগেও রাজ্যপালের বাংলায় হাতেখড়ি অনুষ্ঠান অথবা বাজেট অধিবেশনের ভাষণে রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের ‘সহজ বোঝাপড়া’র দিকটিই প্রকাশ্যে এসেছিল। কিন্তু বড়লাটের এই ভূমিকায় ‘অসন্তুষ্ট’ ছিলেন বঙ্গ–বিজেপি নেতারা। তারপর নয়াদিল্লি থেকে ফিরে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বার্তা দিতেই সব মধুচন্দ্রিমা উধাও। সুকান্ত মজুমদার–রাজ্যপাল বৈঠকের পরেই রাজভবনের পক্ষ থেকে ‘কড়া বিবৃতি’ আসে। রাজভবনের এই ‘সুর বদলে’ এখন রাজ্য–রাজনীতি সরগরম। আবার আজ মুখ্য তথ্য কমিশনার নিয়োগ করা হয়েছে। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকেননি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। উলটে তিনি এই নিয়োগকে অবৈধ বলেছেন। এই ফাইল অবশ্য রাজভবনে যাবে।
এবার কি বিপাকে পড়তে চলেছে রাজ্য সরকার? এই প্রশ্ন উঠছে কারণ প্রশাসনিক কাজে যদি বিচারবিভাগ নাক গলায় তাহলে তাতে অস্বস্তি বাড়ে। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের নানা সিদ্ধান্তে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে রাজ্য সরকারকে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলা থেকে ডিএ—আদালতের রায়ে ‘অস্বস্তি’ বেড়েছে। এমন এক প্রেক্ষাপটে বুধবার রাজ্যপাল–প্রধান বিচারপতি বৈঠকে নজর রাখবে নবান্নও।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup