হরিদেবপুর থানা এলাকার নালন্দা পার্কে সাত বছরের শিশুকে কুয়ো ফেলে দিয়েছে তার জেঠু বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে গোটা এলাকায়। পারিবারিক অশান্তির জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। রবিবার রাতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হইচই শুরু হয়ে গিয়েছে। একজন শিশুর সঙ্গে এমন কাজ করার ঘটনায় সবাই চমকে উঠেছে। জমিজমা এবং সম্পত্তি বিবাদের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে এলাকার মানুষজন জানাচ্ছেন।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? স্থানীয় সূত্রে খবর, বহুদিন ধরেই পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে ঝামেলা চলছিল। এই বিবাদ বেশ কয়েক বছর ধরে চলছিল দুই ভাইয়ের মধ্যে। সেটাই এবার চরম আকার নিয়েছে। দীর্ঘদিনের চেপে রাখা রাগ থেকেই নিজের ভাইপোকে সাপে ভর্তি কুয়োয় জেঠু ধাক্কা মেরে ফেলে দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার পরই চিৎকার–চেঁচামেচি শুরু হতেই বাকিদের টনক নড়ে। তখন সঙ্গে সঙ্গে সকলে ছুটে আসায় শিশুকে মৃত্যুর মুখ থেকে বাঁচানো গিয়েছে। স্থানীয় মানুষজন এসে বাচ্চাটিকে সেই কুয়ো থেকে তুলে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আর কী জানা যাচ্ছে? ওই বাচ্চাটির শরীরের নানা জায়গায় আঘাত রয়েছে। হরিদেবপুর থানার খবর দিলে হরিদেবপুর থানার পুলিশ এসে অভিযুক্ত জেঠু এবং পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করে। হরিদেবপুরে বাচ্চাকে কুয়োয় ফেলে দেওয়ার ঘটনায় জেঠু ওম প্রকাশ কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অসংলগ্ন কথাবার্তা পাওয়ায় গ্রেফতার করেছে হরিদেবপুর থানার পুলিশ। আর্ষ রাজ কুমার নামে ওই শিশুটি এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনা নিয়ে আজ, সোমবার এলাকায় জোর চর্চা করছেন এলাকাবাসী।
তারপর ঠিক কে, কি বলছেন? এই ঘটনার কথা প্রথমে স্বীকার করতে চায়নি অভিযুক্ত পরিবার। অভিযুক্তের স্ত্রী কবিতা রায় ঘটনাটি ঢাকতে বলেন, ‘এই জমিটা আমার শ্বশুরবাড়ির সম্পত্তি। আমার দেওর তাঁর বাবা–মাকে দেখে না। আমাদের সঙ্গেও ঝগড়া করে রোজ। আমরা বাড়ি ছেড়ে অন্য জায়গায় থাকতে শুরু করি। বাবা–মা জানালেন ওরা দেখেও না। বাড়ি ভাড়া দিতে দিচ্ছে না। টাকাও দিচ্ছে না। তাই আমরা এখানে আসি। আমাদের সঙ্গে তখন ওরা ঝগড়া শুরু করে। দেওরের বৌ আমার স্বামীকে লাঠি দিয়ে মারে। যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে সেটা মিথ্যে।’ যদিও শিশুটির বাবা–মা ছেলেকে কুয়োয় ফেলার অভিযোগই এনেছেন।